সোমবার আদালত অবমাননার মামলায় রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রিপোর্টে কমিশন জানায়, রাজ্যে মোট ৪ হাজার ৮৩৪ টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে, যা মোট বুথের সংখ্যার ৭ থেকে ৮ শতাংশ৷ সোমবারের আগে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অনুমোদন করেছিল কেন্দ্র৷ কমিশন এদিনের রিপোর্টে আদালতকে জানায়, ৩১৫ কোম্পানির মধ্যে ২২৪ কোম্পানি বাহিনী এখনও পর্যন্ত রাজ্যে চলে এসেছে৷ আর আগে থেকে ২২ কোম্পানি রয়েছে৷ ১১৩ কোম্পানি এখনও আসেনি৷
advertisement
কমিশন জানায়, যদি প্রতি কোম্পানিতে ৮০ জন সদস্যও থাকেন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৯৬০ এ৷ এ রাজ্যে মোট ৬১ হাজার ৯৮৬ টি পোলিং বুথ রয়েছে। ৪৪ হাজার ৮৪২ টি পোলিং স্টেশন৷ যদি এই ৪৪ হাজার ৮৪২ টি জায়গায় ১ জন করেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতে হয়, তাহলে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী তাদের কাছে নেই বলে আদালতে জানায় কমিশন৷
আদালতে কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘‘সেই সংখ্যক কেন্দ্রীয় জওয়ানও আমাদের হাতে নেই৷ বুথে বুথে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা ছাড়া আর কোনও উপায় আমাদের হাতে থাকছে না৷ আমাদের প্রস্তাব যদি এই বাহিনীকে মোবাইল ইউনিটে রাখা যায় তাহলে ৩০ মিনিটের মধ্যে ৬ টি পোলিং প্রেমিসিসে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে৷ আমরা ১ জুলাই পর্যন্ত কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি৷ এখনও পর্যন্ত কোন উত্তর পায়নি।’’
তবে শুনানির একদম শেষপর্বে এসে বদলে যায় অঙ্ক৷ কমিশনের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা আদালতকে জানান, এই মাত্র কমিশনের সচিব তাঁকে জানালেন, ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে আবেদন তাঁরা জানিয়েছিলেন, তার গোটাটাই অনুমোদন করেছে কেন্দ্র৷ অর্থাৎ, প্রথম দফায় ২২ জেলার জন্য ১ কোম্পানি করে ২২ কোম্পানি, তারপরে দ্বিতীয় বার ৩১৫ কোম্পানি৷ এবার কেন্দ্র বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীও পাঠাচ্ছে৷ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই বাকি বাহিনী রাজ্যে চলে আসবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে৷ আগামিকাল মামলার পরবর্তী শুনানি।