Health News: ফিগার ঠিক রাখতে ডায়েট কোল্ডড্রিঙ্কস! ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে চ্যুইং গামও, হতে পারে ক্যানসার

Last Updated:
বর্তমানে, বেশিরভাগ খাদ্যে এই সুক্রালোজেরই ব্যবহার বেশি পাওয়া যায়৷ ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত, ভারতে শুধুমাত্র স্যাকারিনকেই মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করা যেত৷ পরে ধীরে ধীরে অ্যাসপার্টেম ভারতেও ব্যবহারের অনুমোদন হয়৷ তার পর থেকে চিনির বিকল্প হিসাবে ক্রমেই অ্যাসপারটেমের ব্যবহার বাড়ে৷
1/8
আজকাল আমরা প্রায় প্রত্যেকেই স্বাস্থ্য সচেতন৷ আর স্বাস্থ্য সচেতন হলেই আমরা খাদ্যতালিকা থেকে প্রথম যে জিনিসটা বাদ দিই, তা হল চিনি৷ কিন্তু, তা হলে কী হবে, মিষ্টির স্বাদ কি এত সহজে ত্যাগ করা যায়৷ অতএব, আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্টিফিশিয়াল স্যুইটনার৷ অর্থাৎ, কৃত্রিম মিষ্টি৷
আজকাল আমরা প্রায় প্রত্যেকেই স্বাস্থ্য সচেতন৷ আর স্বাস্থ্য সচেতন হলেই আমরা খাদ্যতালিকা থেকে প্রথম যে জিনিসটা বাদ দিই, তা হল চিনি৷ কিন্তু, তা হলে কী হবে, মিষ্টির স্বাদ কি এত সহজে ত্যাগ করা যায়৷ অতএব, আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্টিফিশিয়াল স্যুইটনার৷ অর্থাৎ, কৃত্রিম মিষ্টি৷
advertisement
2/8
ডায়েট কোল্ডড্রিঙ্কস থেকে শুরু করে চ্যুইংগাম৷ পণ্য তালিকায় কী নেই৷ ফলাও করে সেই সমস্ত পণ্যের বিজ্ঞাপনও চলে দেদার৷ কিন্তু, আমরা কি এতদিন জানতাম, চিনির বদলে কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য এবং তা আমাদের সশরীর-স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভাল!
ডায়েট কোল্ডড্রিঙ্কস থেকে শুরু করে চ্যুইংগাম৷ পণ্য তালিকায় কী নেই৷ ফলাও করে সেই সমস্ত পণ্যের বিজ্ঞাপনও চলে দেদার৷ কিন্তু, আমরা কি এতদিন জানতাম, চিনির বদলে কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য এবং তা আমাদের সশরীর-স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভাল!
advertisement
3/8
তথাকথিত সুগার ফ্রি সন্দেশ থেকে শুরু করে ডায়েট কোল্ড ড্রিঙ্কস- মিষ্টি স্বাদ আনতে সবক্ষেত্রেই সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে আর্টিফিশিয়াল স্যুইটনার অ্যাসপারটেম৷ যে অ্যাসপারটেম এখন বিশ্বজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে৷ কিন্তু কেন?
তথাকথিত সুগার ফ্রি সন্দেশ থেকে শুরু করে ডায়েট কোল্ড ড্রিঙ্কস- মিষ্টি স্বাদ আনতে সবক্ষেত্রেই সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে আর্টিফিশিয়াল স্যুইটনার অ্যাসপারটেম৷ যে অ্যাসপারটেম এখন বিশ্বজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে৷ কিন্তু কেন?
advertisement
4/8
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হু-এর তরফে একটি রিপোর্টই শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে৷ সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই অ্যাসপারটেম রাসায়নিক আসলে প্রবলভাবে কার্সিনোজেনিক৷ অর্থাৎ, এটি এমন একটি উপাদান, যা মানব শরীরে ক্যানসারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে৷
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হু-এর তরফে একটি রিপোর্টই শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে৷ সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই অ্যাসপারটেম রাসায়নিক আসলে প্রবলভাবে কার্সিনোজেনিক৷ অর্থাৎ, এটি এমন একটি উপাদান, যা মানব শরীরে ক্যানসারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে৷
advertisement
5/8
কী এই অ্যাসপারটেম? ১৮০০ শতকের শেষের দিকে, বিজ্ঞানীরা যখন ক্রমশ বুঝতে পারলেন যে, চিনি স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো রোগের পিছনে থাকা অন্যতম কাণ্ডারী, তখন থেকেই চিনির বিকল্পের খোঁজ শুরু হয়৷ ১৮৭৮ সালে, বিজ্ঞানীরা স্যাকারিনের সন্ধান পান - যার ক্যালোরি শূন্য হলেও তা চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি। তারপরে ১৯৩০ এর দশকে, সাইক্লোমেট পাওয়া যায়, যা চিনির চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি।
কী এই অ্যাসপারটেম? ১৮০০ শতকের শেষের দিকে, বিজ্ঞানীরা যখন ক্রমশ বুঝতে পারলেন যে, চিনি স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো রোগের পিছনে থাকা অন্যতম কাণ্ডারী, তখন থেকেই চিনির বিকল্পের খোঁজ শুরু হয়৷ ১৮৭৮ সালে, বিজ্ঞানীরা স্যাকারিনের সন্ধান পান - যার ক্যালোরি শূন্য হলেও তা চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি। তারপরে ১৯৩০ এর দশকে, সাইক্লোমেট পাওয়া যায়, যা চিনির চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি।
advertisement
6/8
১৯৬০ সালে খোঁজ মেলে Aspartame নামের এক রাসায়নিক যৌগের৷ দেখা যায়, এই অ্যাসপারটেম চিনির চেয়ে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি অথচ, চিনির মতো ক্যালোরির বোঝাও শরীরে বাড়ায় না। দেখা যায়, চিনির থেকে অনেক কম পরিমাণে ব্যবহার করলেই এর যথেষ্ট ভাল ফল মেলে। ১৯৭৬ সালে, পাওয়া যায় সুক্রালোজ নামের এক রাসায়নিক৷
১৯৬০ সালে খোঁজ মেলে Aspartame নামের এক রাসায়নিক যৌগের৷ দেখা যায়, এই অ্যাসপারটেম চিনির চেয়ে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি অথচ, চিনির মতো ক্যালোরির বোঝাও শরীরে বাড়ায় না। দেখা যায়, চিনির থেকে অনেক কম পরিমাণে ব্যবহার করলেই এর যথেষ্ট ভাল ফল মেলে। ১৯৭৬ সালে, পাওয়া যায় সুক্রালোজ নামের এক রাসায়নিক৷
advertisement
7/8
 বর্তমানে, বেশিরভাগ খাদ্যে এই সুক্রালোজেরই ব্যবহার বেশি পাওয়া যায়৷ ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত, ভারতে শুধুমাত্র স্যাকারিনকেই মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করা যেত৷ পরে ধীরে ধীরে অ্যাসপার্টেম ভারতেও ব্যবহারের অনুমোদন হয়৷ তার পর থেকে চিনির বিকল্প হিসাবে ক্রমেই অ্যাসপারটেমের ব্যবহার বাড়ে৷
বর্তমানে, বেশিরভাগ খাদ্যে এই সুক্রালোজেরই ব্যবহার বেশি পাওয়া যায়৷ ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত, ভারতে শুধুমাত্র স্যাকারিনকেই মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করা যেত৷ পরে ধীরে ধীরে অ্যাসপার্টেম ভারতেও ব্যবহারের অনুমোদন হয়৷ তার পর থেকে চিনির বিকল্প হিসাবে ক্রমেই অ্যাসপারটেমের ব্যবহার বাড়ে৷
advertisement
8/8
২০১২ সালে হার্ভার্ড গবেষকরা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন- এ দাবি করে, অ্যাসপারটেম গ্রহণ পুরুষদের মধ্যে নন-হজকিনস লিম্ফোমা এবং মাল্টিপল মাইলোমা এবং পুরুষ ও মহিলাদের লিউকেমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
২০১২ সালে হার্ভার্ড গবেষকরা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন- এ দাবি করে, অ্যাসপারটেম গ্রহণ পুরুষদের মধ্যে নন-হজকিনস লিম্ফোমা এবং মাল্টিপল মাইলোমা এবং পুরুষ ও মহিলাদের লিউকেমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
advertisement
advertisement
advertisement