বৃহস্পতিবার কলকাতায় সংগঠনের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে এসএফআই জানিয়ে দিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থরক্ষা করাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য এবং এই কাজ সবচেয়ে ভাল করতে পারেন বামপন্থীরাই। সেই কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে অংশগ্রহণ করে সেই কথাই তাঁরা সাধারণ মানুষ তথা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে পৌঁছে দিতে চান।
আরও পড়ুন: ৮ জুলাই ভোট, ১৬-য় পরীক্ষা! তা-ও কলেজ সেরেই প্রচারে এই একরোখা ক্ষুদে কমরেড
advertisement
দলে নতুন মুখ আনতে সিপিএম সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে ছাত্র সংগঠনের উপরেই। এসএফআইও বছরব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে। করোনাকালে রেড ভলান্টিয়ার তৈরি করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভূমিকা নিয়েছে। দলের তরফেও নতুন মুখ হিসেবে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হচ্ছে ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবেও অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। পঞ্চায়েতের জন্য মূলত গ্রাম নির্ভর বিষয়গুলোকেই ইস্যু করা হয়ে থাকে। এরই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ যুক্ত করে আরও ব্যাপক আকারে প্রচার করার কৌশল নিয়েছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: ভোটের দিনেও অশান্তির আশঙ্কা? কমিশনের কড়া নজরে ভাঙড়-ক্যানিং, বাহিনী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
এসএফআইয়ের রাজ্য সহ সম্পাদক শুভজিৎ সরকার বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে। সংগঠনের তরফে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামপন্থী এবং সহযোগী দলের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপিকে হারিয়ে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গঠন করবে বামপন্থীরা। আমরা বামপন্থীদের সমর্থন করছি এবং যেখানে যেখানে অন্যান্য শক্তিরা আছে যারা তৃণমূল এবং বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারে তাদের সমর্থনের কথাও বলছি।”
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, ভোটারদের একটা বড় অংশই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে৷ তাঁদের কাছে পৌঁছনোটা ছাত্র নেতৃত্বের পক্ষে অনেকটাই সহজ৷ তাই সেই পথ ধরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফসল তুলতে চাইছে সিপিএম।