এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি। বোমাবাজির অভিযোগও আসে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ও জঙ্গিপুরে। অন্যদিকে বেশ কিছু জায়গায় ওঠে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ। তবে এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে লাইন দিয়ে ভোট দিতে দেখা যায় ভোটারদের (West Bengal Municipal Election 2022)। দুপুর ৩ টে পর্যন্ত প্রায় ৬৫.০২ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয় রাজ্যজুড়ে। এমনটাই জানান নির্বাচনী আধিকারিকরা। দুপুর ১ টা পর্যন্ত, ৯৫.৬ লক্ষ ভোটার COVID-19 নির্দেশিকা মেনেই ২,০০০ টিরও বেশি ওয়ার্ডে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে কমিশন সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন : "ভোট পরিচালনায় ব্যর্থ"! রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করলেন রাজ্যপাল...
রবিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ২০ জেলার ১০৭ টি পুরসভায় (West Bengal Municipal Election 2022) ভোটগ্রহণপর্ব চলে দিনভর। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া থাকবে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্র। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা অনুযায়ী ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার স্তর।
তবে অশান্তি এড়ানো যায়নি। ধুলিয়ান পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এদিন বেলা বাড়তেই। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে ঠিক মতো ভোটগ্রহণ হলেও বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ গোলমাল শুরু হয়। বুথ দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সেখানে। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন : আনিস ইস্যুতে সোমবার শহরজুড়ে কর্মসূচি তৃণমূলের, মিছিলের ডাক TMCP -র!
ভাটপাড়ায় ইভিএম ভাঙচুরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন অর্জুন সিংহের আত্মীয় সঞ্জয় সিংহ। অন্যদিকে, ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে বনগাঁর যশোর রোডে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি প্রার্থীরা। বনগাঁ ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি প্রার্থীরা।
ডালখোলা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু পাড়ার একটি বুথে ভুয়ো ভোটার আটক করা হয়। ভোটার তালিকায় এখনও নাম নথিভুক্ত হয়নি, তার পরেও ভোট দিতে পৌঁছে গিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, শান্তিপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী স্নিগ্ধা মুখোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সিপিআইএম প্রার্থী এবং তাঁর দলবলের পক্ষ থেকে। পরে হঠাৎ করেই আক্রমণ চালায় সিপিআইএম প্রার্থী মৌমিতা দাস। কার্যত মাটিতে ফেলে জুতা দিয়ে মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৌমিতা মাহাতো দাস। একইরকম অভিযোগ ওঠে নদিয়ার গয়েশপুরেও। তিন প্রার্থীর তর্ক বিতর্ক শেষমেশ চুলোচুলিতে পৌঁছয় সেখানে।