এই পরিস্থিতিতে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়' (Paray Sikhalay)৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পাড়ার কোনও খোলামেলা জায়গায় করোনা বিধি মেনেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকা, শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা, প্যারা টিচাররা এই পাড়ার শিক্ষালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন৷
আরও পড়ুন: কোভিড বিধি মেনে দর্শকশূন্য এ বারের রাজ্যের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান
advertisement
শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে শিশুদের পড়া, লেখা এবং সংখ্যা সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে৷ শিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'শিশুদের মনোসামাজিক সহায়তা এবং সামাজিক- আবেগজনিত শিক্ষা প্রদান করা হবে৷ শিল্প ও নৈপুণ্যের দক্ষতাও বৃদ্ধি করা হবে৷' এর পাশাপাশি আউটডোর এবং ইনডোর ক্রীড়া সংক্রান্ত কার্য়ক্রমেও জোর দেওয়া হবে৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল৷ রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা ছিল, জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরোদমে স্কুল চালু করে দেওয়া হবে৷ কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়৷ উল্টে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্কুলে পঠনপাঠন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: আশার আলো, ওমিক্রনের পরে ইউরোপে শেষ হতে পারে করোনা অতিমারির প্রভাব! বলছে WHO
স্কুল খোলা প্রসঙ্গে এ দিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীও চাইছেন বাচ্চাদের ক্ষতি না, সংক্রমণ না বাড়িয়ে যাতে স্কুল খুলে ফের বন্ধ করতে না হয়, তার পাকাপোক্ত প্রতিষেধক এবং প্রতিবিধান বের করার পর মুখ্যমন্ত্রী জানাবেন কবে থেকে স্কুল খুলবে৷' শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সম্ভবত চলতি সপ্তাহের মধ্যেই স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হারও অনেকটা কমেছে৷
ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও যে সময়ে স্কুল চলে, সেই সময়েই পাড়ায় শিক্ষালয় চলবে৷ শিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'উন্মুক্ত স্থানে এই সব অধিবেশনে পড়ার অভ্যাস করানো, সংখ্যার ধারণা ও প্রাথমিক স্তরে গণিত চর্চা, সাংস্কৃতিক ও মানসিক বিকাশের বিভিন্ন পাঠক্রম দেওয়া হবে৷'