রাজ্য মন্ত্রিসভা সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই কর্মসূচি রূপায়ণের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ৫০ জন চোখের চিকিৎসক নিয়েগের সিদ্ধান্ত নিল। নবান্ন জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরে চিকিৎসকের অভাবেই ‘চোখের আলো’ কর্মসূচি আট জেলায় ৫০ শতাংশ লক্ষ্যমত্রা পূরণ করতে পারেনি। ৬ টি জেলা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২০ শতাংশ পূরণ করেছে। এর প্রধান কারণ চোখের ডাক্তারের অভাব। তাই রাজ্য মন্ত্রিসভা নতুন করে আরও ৫০টি চোখের ডাক্তার নিয়োগের ছাড়পত্র দিল।
advertisement
তাই এ বছর রাজ্য সরকার এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার চোখের ছানি অপারেশনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছে। এ ছাড়াও বহু মানুষ মরনোত্তর চক্ষুদান করলে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে না সময় মতো। রাজ্য সরকার এই কাজটিও দ্রুততার সঙ্গে করে অন্ধ মানুষের চোখ প্রতিস্থাপনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এমনিতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই ‘চোখের আলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে চায় রাজ্য সরকার। কারণ মানুষ দূষণের জেরে নানা ধরনের অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে। তাই জেলাশাসকদের ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব জানিয়ে দিয়েছেন, ছানি অপারেশনের পাশাপাশি স্কুল – কলেজ পুড়ুয়াদের চোখ পরীক্ষা করে দ্রুত সরকারি খরচে চশমা বিলি এবং মহল্লায় মাঝ বয়সীদের শিবির করে চোখ পরীক্ষা ও চশমা বিলির কাজ শেষ করতে হবে। এব্যাপারে একটা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে নতুন আই ব্যাঙ্ক জুনের মধ্যেই চালু করতে হবে। জুলাই মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ ছানি অপারেশনের কাজ যাতে করা যায়, সেদিকে নজর দিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।