রাজ্যের অভিযোগ গত দু’ বছরে প্রায় ৮-৯ লক্ষ মা ৯০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। রাজ্য বিধানসভার চলতি অধিবেশনে স্বাস্থ্য বাজেট পেশের সময় এই অভিযোগ তুলে ধরলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: ‘সরানো হোক রাজ্যপালকে’, রামপুরহাট কাণ্ডে অমিত শাহর দরবারে আর্জি সুদীপদের
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথমবার কোনও মহিলা সন্তানসম্ভবা হলেই তাঁদের তিন ধাপে ‘বাংলা মাতৃপ্রকল্পে’ মোট ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। অন্তঃসত্ত্বার আধার কার্ড-সহ নিজস্ব ব্যাংক আকাউন্ট থাকলেই তিন কিস্তিতে সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা।
advertisement
এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করাতে হয়। নাম নথিভুক্ত করার কয়েক সপ্তাহ পরই প্রথম কিস্তিতে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। শিশু জন্মানোর ১৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় কিস্তির ২ হাজার টাকা নতুন মায়েদের দেওয়া হয়। শিশু জন্মানোর ৬ মাস পর শেষ কিস্তির ২ হাজার টাকা পান নতুন মায়েরা।
শুধুমাত্র আধার কার্ড ও মায়ের নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। যাতে নতুন মায়েদের খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট তৈরি না হয়, সে কারণেই এই প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: কলকাতার বহু এলাকায় বন্ধ থাকবে পানীয় জল সরবরাহ! কবে, কোথায়-কোথায় বন্ধ পরিষেবা?
বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "গুজরাটের অনুকরণে কেন্দ্র এই প্রকল্পটির নাম দিয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী মাত্রুবন্দনা৷ তবে বাংলায় এই প্রকল্পটির নাম বদল করা হয়। ‘বাংলা মাতৃপ্রকল্প’ নাম দেওয়া হয়। শুধুমাত্র তার জেরে ওই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে না।"
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণে এই অবস্থার শিকার হতে হচ্ছে রাজ্যকে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এই প্রকল্পের নাম বদলে সমস্যা কোথায় বলুন তো? আমরা তো নাম বদল করে মুখ্যমন্ত্রী মাতৃবন্দনা করিনি। তাহলে কেন বাংলার মায়েদের বঞ্চিত করা হচ্ছে? এটা আসলে গভীরতম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। কোনও শিশুর জন্ম থেকে যদি ফুসফুস কিংবা মস্তিষ্কের বিকাশ না হয় তাহলে মেধা কমে যাবে। তাই বাংলার মেধাকে হত্যা করে দেবার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার।”
এর আগেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক সময়ে অভিযোগ করেছে রাজ্য। রাজ্যের অভিযোগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের প্রকল্পের অর্থ দেওয়া হয় না। বিজেপি অবশ্য বলছে, কেন্দ্রের প্রকল্প নিজের নামে করে নিচ্ছে রাজ্য।