TRENDING:

Duare Ration Scheme: 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্প নিয়ে ফের অশনিসংকেত, কী দাবি ডিলারদের সংগঠনের?

Last Updated:

Duare Ration Scheme: অভিযোগ, একতরফা 'দুয়ারে রেশন' এর ক্লাস্টার গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাই 'দুয়ারে নয় দোকানে রেশন' নিয়ে প্রচার শুরু করল রেশন ডিলার সংগঠন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: 'দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন', পালটা প্রচার শুরু করে দিল রেশন ডিলারদের জয়েন্ট ফোরাম৷ সংগঠনের বক্তব্য,  সেপ্টেম্বর মাসে ১৫% পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই কাজ করতে গিয়ে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। বাড়িতে রেশন নেওয়ার ব্যাপারে গ্রাহকরা অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেছেন৷ পাইলট প্রজেক্ট দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। এই প্রকল্প কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জয়েন্ট ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, "আমাদের অভিজ্ঞতা হল অতিরিক্ত ব্যয়ভার এবং Handling Loss হয়েছে, সেগুলি যথাযথ হিসেব নিকেশ করে আমাদের ন্যায্য প্রাপ্যটুকু অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হোক।"
দুয়ারে রেশন নিয়ে অশনিসংকেত
দুয়ারে রেশন নিয়ে অশনিসংকেত
advertisement

একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, একতরফা 'দুয়ারে রেশন' এর ক্লাস্টার গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাই 'দুয়ারে নয় দোকানে রেশন' নিয়ে প্রচার শুরু করল রেশন ডিলার সংগঠন।উৎসবের মরসুমে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই চালু হওয়ার কথা দুয়ারে রেশন প্রকল্প। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবেই কাজ শুরু করছে রাজ্যের দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

আরও পড়ুন: অবশেষে সময় পেলেন, মঙ্গলবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়!

advertisement

তবে বেশ কিছু বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলেই জানাচ্ছেন রেশন ডিলারদের সংগঠন। এরই মধ্যে প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমিশন বাড়াল রেশন ডিলারদের সংগঠন। বায়োমেট্রিক করতে হলে মিলবে আরও ২৫ টাকা কুইন্টাল প্রতি। এখন কমিশন মেলে প্রতি কুইন্টালে ৭৫ টাকা করে৷ ডিলারদের দাবি ছিল সব মিলিয়ে ২০০ টাকা। সেটি হয়েছে আপাতত ১২৫ টাকা। রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন জারি করে এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে। তবে কমিশন বাড়লেও এখনও তা মনঃপূত নয় রেশন ডিলারদের সংগঠনের।

advertisement

দুয়ারে রেশন, অর্থাৎ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে রেশন। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়েই দরকার রেশন ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্যে গাড়ি। আর এই গাড়ি কেনার জন্যে অর্থ কে দেবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে মতান্তর। রেশন ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, "ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা টাকায় গাড়ি কিনব না। প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ করে আমাদের পক্ষে গাড়ি কেনা সম্ভব নয়।" ডিলারদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকার গতিধারা প্রকল্পের আওতায় এক লক্ষ টাকা দিচ্ছে। সেই টাকায় গাড়ি কেনানোর ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার করে দেবে। আর বাকি টাকা দিয়ে যিনি গাড়ি নেবেন তিনি তো তার মালিক হয়ে যাবেন। রেশন সরবরাহের পাশাপাশি সেই গাড়িকে অন্য সময়ে তিনি কাজে লাগাতে পারবেন। আমরা তো সেই কাজে বাধা দিতে যাব না।"

advertisement

ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনার ব্যাপারে ১ লক্ষ টাকা সাহায্যের কথাও নোটিফিকেশন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তাদের কমিশনের অঙ্ক ২০০ টাকা করে দিতে হবে। বর্তমানে কমিশন অবশ্য ৭৫ টাকা করে দেওয়া হয়। বাড়ি গিয়ে রেশন সরবরাহের জন্যে কর্মী ও অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে ১২৫টাকা বর্ধিত চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পণ্য সরবরাহের জন্যে হ্যান্ডলিং চার্জ দাবি করা হয়েছে৷ কারণ হিসাবে বিশ্বম্ভর বাবু জানিয়েছেন, রেশন দোকান বা গোডাউন থেকে কোনও বাড়িতে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে কিছু পণ্য নষ্ট হয়। তাই হ্যান্ডলিং চার্জ দাবি করা হয়েছে।

advertisement

রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে মাসে তাদের অতিরিক্ত ৪১৬৮০ টাকা খরচ হবে। সেই টাকার হিসাবে তারা বলছে, গাড়ির চালক ১২ হাজার টাকা। সহকারীর জন্যে ১০ হাজার টাকা। জ্বালানি বাবদ ২৫০০ টাকা। গ্যারাজ বাবদ ১৫০০ টাকা। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে ২০০০ টাকা। রোড ট্যাক্স বাবদ ৬০ টাকা। বিমা বাবদ ১০০০ টাকা। দূ্ষণ রোধে ২০ টাকা৷ ইএমআই বাবদ ১২৬০০ টাকা। ইতিমধ্যেই এই হিসেব তারা জমা দিয়েছেন রাজ্যের কাছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাটির রঙিন খেলনায় ছেয়ে গিয়েছে বাজার, চাহিদা তুঙ্গে! দাম কত জানেন?
আরও দেখুন

দুয়ারে রেশন চালু হলেও ভৌগোলিক কারণে তা চালু করা হবে না পাহাড়ের দুই জেলায়। এমনকি সুন্দরবনের ব-দ্বীপের একাংশেও তৈরি হয়েছে অসুবিধা৷  তবে যেখানেই পণ্য সরবরাহ করা হোক না কেন, পণ্য মেপে, ই-পস মেশিনে নথিভুক্ত করে তবেই তা দেওয়া হবে গ্রাহকদের।ডিলারদের একাধিক বক্তব্য থাকলেও রাজ্যের খাদ্য দফতরের কথায়, আগে শুরু হোক প্রকল্প। তার পরেই বোঝা যাবে সমস্যা কোথায় হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, "মাঠে নেমে আগে কাজ শুরু হোক। তারপরেই তো কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা যাবে। শুধু সমস্যাই দেখতে গেলে কোনও কাজ হবে না।" তাই চলতি মাসেই রাজ্যের প্রায় ৩১০০ ডিলারদের নিয়ে চালু হবে দুয়ারে রেশন।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Duare Ration Scheme: 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্প নিয়ে ফের অশনিসংকেত, কী দাবি ডিলারদের সংগঠনের?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল