আরও পড়ুন- ৩৪ বছর পুরনো 'হত্যা' মামলায় নভজ্যোত সিং সিধুকে কারাদণ্ডের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের!
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় এদিন বলেন, “মাননীয় বিচারপতি হাইকোর্টের রায় দিয়েছেন ঠিকই তবে আমরা, যারা সরকারি কর্মচারী, অধিকাংশই মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা ভরসা রাখি।” দিব্যেন্দু আরও বলেন, “আর্থিকভাবে যা যা ক্ষতি হল তা নিশ্চয়ই তিনি দেখে নেবেন এবং শুধু ডিএ নয় চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে প্রমোশনের স্বচ্ছতা সবটাই তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে এই রায় বিচারপতি দিয়েছেন, প্রশাসন ভেবে দেখবে কী করা যাবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা আছে।”
advertisement
সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন আস্থা প্রকাশ করলেও, বিরোধীরা এই রায়কে ঘিরে সরকারকে আক্রমণ করেছে স্ব স্ব ভঙ্গিমায়। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “এই সরকার অপরিকল্পিত ভাবে ক্লাব গুলিকে অনুদান দেবে। কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের অধিকারের ডিএ-র দাবি করলেই সরকারি তহবিলে যথেষ্ট অর্থ থাকে না।”
আরও পড়ুন- কুসংস্কারাচ্ছন্ন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী! দুর্ভাগ্য রুখতে বদল নিজের জন্ম তারিখ!
খানিক একই সুর বামনেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। সুজনের কথায়, “বকেয়া ডিএর পরিমাণ প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা। এত টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার কী করল? সরকারের টাকা যদি না থাকে তাহলে রোজ খেলা-মেলার খরচ কীভাবে জোগাচ্ছে?”
আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পান। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকরই হয়নি। ২০১৬ সালে ডিএ সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে। এরপর থেকে মামলা একবার স্টেট অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (স্যাট) কাছে যায়, একবার যায় হাই কোর্টে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হিসেব মতো পঞ্চম বেতন কমিশন ও ষষ্ঠ বেতন কমিশন মিলিয়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে ৩৪ শতাংশের দাবিতে মামলা সরকারি কর্মীদের।