এদিন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) ‘জাগ্রত বাংলা’ নামে নয়া প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোটা অনুষ্ঠানটিই হল ভার্চুয়ালি। প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্যই হলো সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষজনকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে পুলিশের চাকরিতে যোগদান করানো।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে কিছুদিন আগেই হুমকি দিয়েছিলেন প্রাক্তন মাওবাদীরা। বলেছিলেন, চাকরি চাই। নইলে নিজেদের মতো করে বুঝে নেবেন তাঁরা। সেইসঙ্গে আরও বার্তা দেন যেস সরকার দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করলে আবার আগের মতোই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখতে চাইবেন৷ পুরুলিয়ার বড়াবাজারের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বেড়াদায় তৃণমূলের পতাকার নিচে বৈঠক করে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান একসময় মাওবাদী সংগঠনে থাকা স্কোয়াড সদস্য বা লিংকম্যানরা।
advertisement
আসলে জঙ্গলমহলের এই জেলায় রাজ্য সরকার ঘোষণা অনুযায়ী প্রাক্তন মাওবাদীদের চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু করলেও এখনও বহু মাওবাদী চাকরি পাননি। তাছাড়া এই চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা বেনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। আর এর ফাঁসে প্রকৃত মাওবাদীরা রাজ্য সরকারের পুনর্বাসন প্যাকেজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও এদিনের বৈঠক থেকে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
এদিন পুলিশদের উৎসাহ দেওযার জন্য বিমা, ছুটি-সহ বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দক্ষতার বিচারে কলকাতার পুলিশ, বাংলার পুলিশ সেরা। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৭৫ জন পুলিশকর্মীর ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার।’’ কোভিডের সময় রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের ভূমিকা ও রক্তদানের একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়েও সাধুবাদ দেন মমতা।
এসবের পাশাপাশি পুলিশের মনোবল আরও চাঙা করতে কার্যত কাউন্সেলারের ভূমিকায় দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। বললেন, কোনও কারণে জীবনে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই, জীবন বিসর্জন দেওয়ার কথাও ভাবা অনুচিত। বরং কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে সমাধানের উপায় বের করতে হবে। পুলিশের প্রতি তাঁর বার্তা, সমন্বয় রেখে কাজ করুন, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়ান। তাহলে আরও শক্তিশালী হবে রাজ্য পুলিশ।
(আবীর ঘোষাল)
