কমিশন সূত্রে খবর, স্পষ্ট জানানো হয়েছে ভোটকর্মীদের প্রয়োজনের কথা ভাবতে গিয়ে এইসব বিষয়ে লাগাম ছাড়া খরচ করা যাবে না। জেলার জন্য কমিশনের নির্ধারিত বাজেটের মধ্যেই খরচ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভরা বর্ষায় পঞ্চায়েত ভোট হবে বলে ছাতা বা রেনকোট দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের উপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছেড়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের জন্য বিরাট নির্দেশ! সব ছুটি বাতিল, বড় চ্য়ালেঞ্জের মুখোমুখি উর্দিধারীরা
প্রসঙ্গত এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে আলিপুরদুয়ারে ম্যালেরিয়ার উপদ্রবের মোকাবিলায় ভোটকর্মীদের একবার মশারিও দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটকর্মীদের ডিউটিতে যে ব্যাগ দেওয়া হয় তাতে ৭৬ ধরনের জিনিস থাকে। এর মধ্যে ব্যালট বাক্স,ব্যালট পেপার, ভোটের কালি, রাবার স্ট্যাম্প, ভোটার তালিকা, ভোটার স্লিপ-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরঞ্জাম কেন্দ্রীয় ভাবে কমিশনই পাঠায়।
আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’, রবিবারের বিরাট ঘটনা! বইয়ের পাতায় কী থাকবে, প্রবল জল্পনা শুরু
এছাড়া জেলাভিত্তিক কিছু জিনিস প্রশাসন যুক্ত করে। মূলত সাগর থেকে পাহাড় একই রকম জিনিসের প্রয়োজন হয় না। এলাকাভিত্তিক বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটকর্মীদের জন্য বাড়তি কিছু ব্যবস্থা করতে হয়। যা জেলা প্রশাসনই স্থির করে। তাই এবার ভরা বর্ষায় ভোট হওয়ায় অনেক কিছু ভোট কর্মীরা কি ছাতা বা রেনকোট পাবেন?
কমিশনের কর্তারা অবশ্যই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এইসব কিনলে আপত্তি নেই। কিন্তু এর জন্য কমিশন অতিরিক্ত টাকা দেবে না। কমিশন জানিয়েছে জেলায় বুথের সংখ্যার উপর বাজেট বরাদ্দ হয়। সবচেয়ে বেশি বুথ রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। তাই ওই জেলায় বাজেটও বেশি। আবার সবচেয়ে বুথ কম রয়েছে কালিম্পং জেলায়। তাই ওই জেলায় বরাদ্দ কম। তবে একাধিক জেলা প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন প্রয়োজন বুঝেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়