জানা গিয়েছে, আগামীকাল, সোমবার দিল্লিতে কর্মীবর্গ দফতরের দায়িত্বে যোগ দিচ্ছেন না আলাপন। বরং তার পরিবর্তে তিনি নবান্নে যাবেন বলেই সূত্রের খবর। সোমবার নবান্নে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর তিনটের সেই বৈঠকে মুখ্যসচিব হিসেবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ই উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী নিজের দফতরের কর্মীদেরও আর পাঁচটা দিনের মতোই আসার কথা জানিয়েছেন আলাপন।
advertisement
যদিও মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নির্দেশ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও সম্মুখসমরে নামেননি মমতা। বরং নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে প্রাথমিক ভাবে ওই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী মোদির পর্যালোচনা বৈঠক এবং আলাপনের বদলি-চিঠি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে 'বাঙালি' খোঁচা দিতেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'মুখ্যসচিব বাঙালি বলেই কি এত রাগ!' যদিও পরক্ষণেই তিনি বলেন, 'আমি বাঙালি-অবাঙালি করতে চাই না।'
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, 'আমাকে, মুখ্যসচিবকে এবং রাজ্য সরকারকে অপমান করা হচ্ছে। হার মেনে নিতে পারছেন না বলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। প্রাইম মিনিস্টার স্যার, আপনার দুটো পা ধরলে যদি আপনি খুশি হন, আমি বাংলার জন্য তা-ও করতে পারি। কিন্তু এই চিঠি আপনারা ফিরিয়ে নিন।' যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি মেনে কেন্দ্রীয় সরকার ওই বদলির নির্দেশ প্রত্য়াহার করেনি এখনও। কিন্তু নির্দেশ প্রত্যাহার না হলেও বিষয়টি নিয়ে যে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আরও চড়বে, তা সোমবার আলাপনের নবান্ন-যাত্রার সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে আলাপনের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের কাছে সেই মর্মে আবেদন জানানো হয়েছিল। কেন্দ্র সেই আবেদন মেনে ২৪ মে সম্মতির চিঠিও পাঠিয়েছিল। কিন্তু কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরই পাল্টে যায় গোটা পরিস্থিতি। শুক্রবার রাতেই কেন্দ্রের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, সোমবার সকাল ১০টার মধ্যেই আলাপনকে নর্থ ব্লকের কর্মিবৃন্দ মন্ত্রকে গিয়ে দেখা করতে হবে। কিন্তু নর্থ ব্লক নয়, আলাপন সোমবার নবান্নেই যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
