এম ভি সরস্বতী, সঙ্গীত, আত্রেয়ী, রঙ্গিত, সঙ্গী, শীলাবতী, চাকাচাকি, বিয়াস, মোহনচূড়া – ন’টি নদীর নামে রাখা হয়েছে ন’টি জলযানের নাম। এই জলযান এবার যাত্রী পরিবহণে নামছে।এই সব আধুনিক জলযানগুলি মূলত ৮০ ও ১০০ আসনের। আপাতত হুগলি নদীতে চলাচল করবে এই জলযানগুলি।
বিশেষ করে হাওড়া থেকে কলকাতার একাধিক গঙ্গার ঘাট ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাটে যেখানে যাত্রী সংখ্যার খুব চাপ থাকে, সেখানেই এই জলযানগুলি ভাসানো হবে। নদীর নামে আধুনিক জলযানগুলির নাম দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ৯টি অত্যাধুনিক জেটিও চালু হয়েছে। সড়ক পরিবহণের পাশাপাশি জল পরিবহণকে সাজানোর উপরও জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
advertisement
আরও পড়ুন : বিবেক এক্সপ্রেস এ বার সপ্তাহে চার দিন চলবে, জানুন যাত্রাপথ ও পরিবর্তিত সময়সূচি
রাজ্যের পরিবহণ দফতরের একাধিক আধিকারিকদের বক্তব্য, জলপথ পরিবহণের প্রতি মানুষের নির্ভরতা বাড়লে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কমবে। সেক্ষেত্রে কমবে দূষণও। সেদিকে লক্ষ রেখে ভবিষ্যতে ই-ভেসেল বা বৈদ্যুতিক জলযান নামানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, নতুন এই ভেসেলগুলিতে থাকছে বায়ো টয়লেট।
এমনভাবে এগুলি বানানো হয়েছে যে, কোনওভাবেই জল দূষিত হবে না। যাবতীয় বর্জ্য জমা হবে একটি চেম্বারে। ঘাটে এসে তা পরিষ্কার করা যাবে।বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় জল পরিবহণ ব্যবস্থাকে সাজাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দফতর। এই জলযানগুলি কেনা তারই অঙ্গ। এছাড়া সাজছে জেটিও। ইতিমধ্যে গৌরহাটি, রাসমণি ঘাট, গাদিয়াড়া, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবীতলার মতো জেটিগুলো নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। লেগেছে আলো। বসেছে স্মার্ট কার্ড গেট, বানানো হয়েছে শৌচালয়ও।
পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুরের মধ্যে ভেসেলগুলি বিভিন্ন ঘাটের মধ্যে চলাচল করবে। প্রতি অত্যাধুনিক জলযান কিনতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। মোট ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই জলযান কেনার ব্যাপারে৷