খালের পাশে আরতি হরিজন পল্লীতে গিয়ে দেখা গেল বাড়ির উঠোনের কানায়-কানায় রয়েছে খালের জলের স্তর (DumDum Waterlogging) । ওঁদের দাবি, আবার বৃষ্টি হলে, আবার জল ঢুকবে । তাই এখন থেকেই খাটের উপর জিনিসপত্র বেঁধে নিয়ে বসে রয়েছেন সবাই । কেউ বলছেন জিনিসপত্র উপরে তুলে দিয়ে খাটে, কিংবা বেঞ্চ বা টুলে বসে থাকবেন । এই এলাকায় একতলা বাড়িতেও হাঁটু সমান জল জমে । পাশেই দমদম পার্ক এলাকায়, গত সাতদিন ধরে এক হাঁটুর কাছাকাছি জল জমে ছিল। এলাকার মানুষের বক্তব্য, বাগজোলা খালে বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে এলাকায় ।
advertisement
আরও পড়ুন : অবিলম্বে ইলেকট্রিকের পোস্ট ঢাকা দিতে হবে দুর্যোগের আগে! বিদ্যুৎ দফতরকে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ মুখ্যসচিবের
আরও পড়ুন : রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন! জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারি মুখ্যসচিবের
এখানেও খালের জলের উপরিতল থেকে পার্শ্ববর্তী স্থানীয় এলাকা নিচু । যার ফলে, অনায়াসে জল ঢুকছে লকগেটগুলির পাশ দিয়ে । দেখা গেল, লকগেটের পাশে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধের মতো করা রয়েছে । অভিযোগ, ওই বালির বস্তা দিয়ে কোনওভাবে জল আটকানো সম্ভব নয় । যদিও শুক্রবার বিকেল থেকে জল নেমেছে । এলাকায় ব্লিচিং পাউডার থেকে আরম্ভ করে কীটনাশক ছড়াচ্ছে স্থানীয় পুর প্রশাসন । তবুও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাগজোলা খালের নোংরা দুর্গন্ধময় জল এসে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে।
পুরসভার সরবরাহ করা জলের কল থেকে আরম্ভ করে সবকিছুই জলের তলায় চলে গিয়েছিল । কয়েক দিন শ্যামনগর এবং দমদম পার্ক এলাকার মানুষ তীব্র জলকষ্টে কাটিয়েছেন । হরিজনপল্লীর সবিতা পাল, দীপালি সরকার, টিনা পাল, সঞ্চিতা পালেরা দাবি করেন, খালটি অনেকদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে জলধারণ ক্ষমতা কমেছে । তাঁদের অভিযোগ, যার ফলে গত দু'বছর ধরে জলের চাপেই এই বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যাচ্ছে । পুরসভার কাছে দ্বারস্থ হয়েও তাদের কোনও লাভ হয়নি, বলে অভিযোগ ভুক্তোভোগী স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷
