এদিন আদালতে ফের পার্থের জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। কিন্তু আদৌ কি প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিন মিলবে? না জেল হেফাজতেই ফিরতে হবে পার্থকে? তা জানা যাবে আদালতের রায় ঘোষণার পরই। তবে, এদিনও অর্পিতার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হয়নি। কাজেই তিনি যে জেলেই যাচ্ছেন, সেটা নিশ্চিত, পরের দফায় কত দিন, সেটাই জানাবে আদালত।
advertisement
২৩ অগাস্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর সশরীরে নয়৷ এবার থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হবে৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে পেশ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই আদালতের কাছে এই অনুমতি চেয়েছিল প্রেসিডেন্সি এবং আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ৷ সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছিলেন বিচারক৷ জেলে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ছিল পার্থের শুনানি। তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান। আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে পার্থ জানান, সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে চান তিনি। এটা তাঁর মৌলিক অধিকার।
আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’ গান ফের নতুন করে আসারই ইঙ্গিত দেবাংশু ভট্টাচার্যর
বুধবার ভার্চুয়ালি কোর্টে পেশ করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানেই মারাত্মক অভিযোগ তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। প্রাক্তন মন্ত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কার কথাও বলেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ''আমার মক্কেলের অর্থোপেডিক,নেফ্রোলজি সমস্যা রয়েছে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব কম, এই ভাবে থাকলে আমার মক্কেলের মৃত্যু হতে পারে।'' তাঁর সংযোজন, ''আমার মক্কেলের বাড়ি থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। আমার মক্কেলের নাম জড়ানো হচ্ছে। আমার বাড়ি থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। নিয়োগ সংক্রান্ত যা কাগজ পেয়েছে, সেটা তার শিক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন। ওই কাগজগুলো দফতরে জমা দেওয়া হয়নি। ১৪ দিন ইডি হেফাজতে থেকে সবরকম সহযোগিতা করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।''
আরও পড়ুন:পেপার ওয়েট নিয়ে এজলাসে যাই না, বিচারপতির মন্তব্য প্রসঙ্গে এবার আসরে অরুণাভ
পার্থর শারীরিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ''আমার মক্কেলের বাইপাপ পদ্ধতি মেনে অক্সিজেন লাগে। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিশেষ টিমের গঠন করা হয়েছিল। তারাই এই তথ্য দিয়েছে। Ed বলছে বেশ কয়েকটি এলআইসি-তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নমিনি হিসেবে ব্যবহার করে ফাঁসানো হয়েছে। গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার এতে কোনও ভূমিকা নেই।'' পার্থর আইনজীবীর সংযোজন, ''জেলে বাথরুমের অবস্থা খারাপ, মাটিতে ঘুমোতে হচ্ছে। এই ভাবে থাকলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।''
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন৷ আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন অর্পিতা৷ দু' জনকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পেশ করে পুলিশ৷ কিন্তু প্রত্যেকবারই পার্থ এবং অর্পিতাকে আদালতে তুলতে গিয়ে বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে৷ কারণ দু' জনকে দেখতে আদালত চত্বরে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন৷ সেই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খান পুলিশকর্মীরা৷ ভিড়ের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়৷ জেল কর্তৃপক্ষের আবেদনে আপাতত জেলে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।