মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা তথা মালিওর- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী মহম্মদ আলাউদ্দিন। দাপুটে এই শাসক নেতা সেন্টু নামেই বেশি পরিচিত। তার বন্দুক হাতে ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বন্দুক হাতে রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। আর এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক তরজা। হইচই পড়ে গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষকে ভীত, সন্ত্রস্ত করতে চাইছে তৃণমূল। অস্ত্র মজুত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে পঞ্চায়েত ভোটে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ভোট লুট করা যায়। এমনটাই অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: মিলছিল না হদিস, অবশেষে দাসপুরে খোঁজ মিলল ৫ কোটির লটারি জেতা ব্যক্তির! কী হয়েছিল আসলে?
যদিও ওই তৃণমূল নেতা আলাউদ্দিনের দাবি, এই বন্দুক আসল নয়। নিছক মেলার খেলনা বন্দুক। বেলুন ফাটানোর জন্য হাতে নিয়েছিলেন তিনি। সম্ভবত কেউ বা কারা ছবি তুলে নিয়েছিল। এখন ভাবমূর্তি খারাপ করতেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সেই ছবি ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান। এলাকায় আলাউদ্দিনের প্রভাবও যথেষ্ট। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে শাসক নেতার এভাবে বন্দুক হাতে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোই, সমালোচনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি বিজেপি।
আরও পড়ুন: বড় খবর! শুক্রবার থেকেই প্রাথমিকের টেটের আবেদনপত্র, নিয়মেও বড় বদল ঘটাল পর্ষদ
বিজেপির মালদহ উত্তর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, শাসকদল পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদেরকে ভীতি প্রদর্শন করতেই এমন বন্ধুক হাতে ছবি ছড়িয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুন এই বন্ধুক আসল কিনা। কিন্তু,পুলিশ শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেনা এটাই স্বাভাবিক।পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এবিষয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে। বন্দুক আসল না নকল তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। বন্দুক আসল হলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।