এরকম একটা ঘটনা দেখা গেল গেদে লোকালে। ট্রেনের ভেন্ডার কামরাতে কলকাতায় আসছে পটল এবং শসা। এই শশা ,পটল, ভেন্ডি ট্রেনে আসার সময় বড় ড্রামে সবুজ রং মিশিয়ে চলছে রং করার কাজ। যারা রং করছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করাতে তারা দাবি করলেন, মানুষ চকচকে সবজি ছাড়া পছন্দ করে না। রং ফিকে হলেই পটল, শসা এগুলোর বিক্রি কমে যায়। যার ফলে সবুজ সবজি আকর্ষণীয় করার জন্য সবুজ রং করা হয়। এই সবুজ রং স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয় তারা দাবি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে কে এই নীলাদ্রি দাস? পুরনো পরিচয় জানলে আঁতকে উঠবেন!
এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, সবজি রান্নার সময় যতই তার খোসা ফেলে দেওয়া হোক, সবজির মধ্যে এই রংয়ের কিছু অংশ এমনিতেই ঢুকে যায়। এছাড়াও বোঁটা কিংবা তলায় যেখানে ফুলের অংশ থাকে, সেখান দিয়ে রং প্রবেশ করে। এই সবুজ রং মূলত শিল্পের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। এই সবুজ রংকে মূলত 'ম্যালাকাইড গ্রিন' বলে। এই ম্যালাকাইড গ্রিন মানুষের শরীরে গেলে এটি যেহেতু সক্রিয় কারসিনজেন। তার ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও মানুষের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। যেটার ক্ষতি মানুষ তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারে না। কিন্তু ক্ষতি হওয়ার জন্য সময় অনেকটা লাগে।
আরও পড়ুন: এবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঠাঁই আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির
এই বিষয়ে সাধারণ ভোক্তাদের দাবি ,'কী আর করা যাবে! এছাড়া বাজারে আছেটা আর কী? তবে প্রশান্ত বিশ্বাস বলছেন 'যে কোনও সবজি কাটার পর কমপক্ষে আধ ঘন্টা জলে ডুবিয়ে রাখা উচিত। তারপর সবজি পরিশ্রুত জলে ভালো করে ধুয়ে নিলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে যাবে।'
প্রশ্ন এই ধরনের চক্রর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দফতর রয়েছে, আমাদের রাজ্য কিংবা দেশে। তাদেরকে কোথায় দেখা যায় না। এসব নিয়ে কোনও সচেতনতামূলক উপদেশ দিতে কিংবা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না সেই দফতরকে।