পুলিশ সূত্রে খবর, দমদম থানা এলাকার দুর্গানগরের বাসিন্দা মিহির মণ্ডলের সঙ্গে পশ্চিম রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা অঞ্জু দাসের অবৈধ্য সম্পর্ক তৈরি হয় বছর দেড়েক আগে। সম্পর্কে সব সময় টানাপোড়েন চলত। বছরখানেক আগে এই সম্পর্ক নিয়ে দমদম থানায় একটি লিখিত অভিযোগও হয়। এরপরেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি কেউ। প্রায়ই তাঁরা মিলিত হতেন। কিন্তু অভিযোগ, মিহির মণ্ডলের অত্যাচারে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন বছর ৪২ এর অঞ্জু দাস। তা মেনে নিতে পারেননি বছর ৩৭ এর মিহির।
advertisement
অভিযোগ, ১৪ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে অভিযান চালায় মিহির। রাস্তা থেকেই ভালোবাসার মানুষ অঞ্জু দাসকে তুলে নিয়ে আসে নিজের বাড়িতে। এরপরেই সেখানে দু'জনের মধ্যে বিবাদ ও বচসা শুরু হয়, সেই বচসার জেরেই অঞ্জু দাসকে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মিহির। এমনকি তাকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ করেন অঞ্জু দাসের মেয়ে প্রিয়া দাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মিহির মণ্ডল অঞ্জু দাসকে মারার পর নিজেই অন্য নামে অঞ্জু দাসকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে। তারপর থেকেই সে পলাতক ছিল। এমত অবস্থায় অঞ্জুর মেয়ে জানতে পারেন আরজিকরে ভর্তি রয়েছেন তার মা। এরপর সেখানে গিয়েই সে সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। গত ১৮ তারিখ রাতে চারদিন কোমায় থাকার পর মৃত্যু হয় অঞ্জু দাসের।
আরও পড়ুন: আজ সোমবতী অমাবস্যাতেই মুক্তি! জীবনে আসবে সুখ-সমৃদ্ধির জোয়ার! শুধু করতে হবে এই ৬ উপায়!
আরও পড়ুন: তিন বছরের শিশুর মৃত্যু, Adenovirus-এর আতঙ্ক বাড়ছে জেলায় জেলায়!
এরপরেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দমদম থানার পুলিশ গতকাল দুর্গানগর অঞ্চল থেকেই অভিযুক্ত মিহিরকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে দমদম থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ ১০ দিনের পুলিশে হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর ভারি কোন বস্তু দিয়ে মহিলার মাথায় আঘাত করা হয়, তার ফলে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় অঞ্জু দাসের।
অনুপ চক্রবর্তী