পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোন লোকেশন ট্র্যাক করেই আনন্দপুরের ওই বিল্ডিংটির খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানে হানা দেন গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররা। গ্রেফতার করা হয় ১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে। যদিও এই ঘটনার পরই ফের আসরে নেমেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, ওই অবৈধ বাংলাদেশিদের মাদ্রাসায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ''বাম আমল থেকেই এটা চলছে। রোহিঙ্গারা এই রাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছে বহুদিন। এই ঘটনা ফের সেটাকেই প্রমাণ করল। এদের দিয়েই বিধানসভা ভোটের পর ঝামেলা করানো হয়েছিল। এখন কলকাতায় ভোট এসেছে, তাই আবার তাদের আনা হয়েছে।''
advertisement
আরও পড়ুন: চমকেই বাজিমাতের লক্ষ্য, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের শেষ মুহূর্তের তারকা-টাচ!
গ্রেফতার হওয়া ওই ১৮ জনকে আনন্দপুর থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। কোন উদ্দেশ্যে তাঁরা কলকাতায় এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্র খবর, উত্তর প্রদেশ থেকে এক আসামীকে গ্রেফতার করতে কলকাতায় এসেছিল এটিএসের দল। তাঁরা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অভিযান চালানোর জন্য সাহায্য চেয়েছিল। কলকাতা পুলিশ তাঁদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এরপরই আনন্দপুরের গুলশন এলাকায় হানা দিয়ে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কারও কাছে বৈধ পরিচয়পত্র নেই বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: খড়গপুরে এলেন অন্ধ্রের মন্ত্রী, গন্তব্য 'ডন' রামবাবুর বাড়ি! জেলাজুড়ে তোলপাড়
তাঁদের কাছ থেকে যা যা নথি পাওয়া গিয়েছে, সবই ভুয়ো বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুরভোটের আগে এতজন বাংলাদেশিকে একসঙ্গে গ্রেফতার করায় চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, মানব পাচারের একটি কেসে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে এসেই খোঁজ মেলে এতজনের। এরপরই প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হয়।