রাজ্য নির্বাচন কমিশন বুধবার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রায় ২০ হাজার নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন (১৯ হাজার ৯৫৩)৷ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই নির্দলদের একটা বড় অংশ যেমন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা, সেরকমই বহু বিজেপি নেতা কর্মীও এবার নির্দল হিসেবে লড়ছেন৷ তবে তৃণমূল এবং বিজেপি শিবিরের যাঁরাই নির্দল হিসেবে লড়ছেন, তাঁদের মনোভাবে মূল একটি পার্থক্য রয়েছে বলেও মত রাজনৈতিক মহলের৷
advertisement
আরও পড়ুন: বেনজির পদক্ষেপ রাজ্যপালের, কমিশনার পদে রাজীব সিনহার থাকা নিয়েই আইনি সঙ্কট?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের টিকিট না পেয়েই বহু প্রার্থী নির্দল হিসেবে লড়ছেন৷ আবার অনেক জায়গাতেই কৌশলগত কারণে দলের প্রতীক না দিয়েই নির্দলদের সমর্থন করছে বিজেপি৷ কারণ, বিজেপি-র প্রতীকে লড়লে সরাসরি শাসক দলের হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি৷ তাই নির্দল হিসেবেই বহু প্রার্থীকে ভোটের লড়াইয়ে নামিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷
আরও পড়ুন: ২০১৮ থেকে কতটা কমল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়? অনুব্রত না থাকলেও শীর্ষে সেই বীরভূম
বুধবার নন্দীগ্রামে খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে৷ কারণ খোদ বিরোধী দলনেতার বিধানসভা এলাকা হলেও নন্দীগ্রামের অনেক জায়গায় পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি৷ শুধু বিজেপিই নয়, অনেক জায়গায় বিরোধীরা একজোট হয়ে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছেন, এমন ছবিও সামনে এসেছে৷ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার পাথরপ্রতিমাতেই এমন নির্দল প্রার্থীর খোঁজও মিলেছে৷
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভোটের ফল বের হোক, তাহলেই সব বুঝতে পারবেন৷ কেন প্রার্থী দিইনি৷’ ফলে নিজেদের দলের বিক্ষুব্ধ হোক বা বিরোধী শিবিরের সমর্থন পুষ্ট, এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও সেই নির্দল কাঁটার মুখে পড়তেই হল রাজ্যের শাসক দলকে৷