দেবাংশুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উনকোটি ও সিপাহিজলা জেলার। জয়া'র দায়িত্বে ধলাই, গোমতী ও খোয়াই জেলা। সুদীপের দায়িত্বে উত্তর ও দক্ষিণ ত্রিপুরা। প্রসঙ্গত, এই সব জেলায় গত দুই মাস ধরে একাধিক পরিবার সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে মূল লক্ষ্য ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠনকে জোরদার করা।শনিবার কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় এসে পৌছে গিয়েছেন দেবাংশু-সুদীপ-জয়া। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আসার আগে এই তিনজনের সঙ্গে দেখা করতে হাজির একাধিক ব্যক্তি। বিশেষ করে ছাত্র ও যুবদের আগ্রহ বেশি৷ অভিষেকের সফরের মাধ্যমে ছাত্র ও যুবদের আরও অনেক বেশি উৎসাহ দানা বাঁধছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
advertisement
প্রায় প্রতিদিন ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক নেতা যোগদান করছেন। আর তা দেখেই বিজেপি ভয় পাচ্ছে বলে মত দেবাংশুর। তার কথায়, "অবশ্যই খেলা হবে। ২০২৩ ত্রিপুরা রাজ্যে খেলা হবে। মানুষ যে আগ্রহ দেখিয়ে এগিয়ে আসছেন, তাতে বিপ্লব দেব সরকারের ব্যর্থতা বোঝা যাচ্ছে। তাই ত্রিপুরায় বদল আসছে এটা নিশ্চিত।"
কী ভাবে এগোনো যাবে, তা নিয়ে ছাত্র-যুবদের নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করে ফেলেছে তৃণমূল। শিক্ষা ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থান এই দুই ইস্যুকে সামনে রেখেই এগোবে তৃণমূল। ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে সুদীপ রাহার বক্তব্য, "ছাত্র সমাজ পড়শি রাজ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাচ্ছে। আর ডাবল ইঞ্জিন সরকার বলে দাবি করে আসা এই রাজ্যের সরকার উচ্চ শিক্ষার জন্যে কোনও সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারল না।" অপরদিকে ছাত্র-যুব পাশাপাশি ত্রিপুরার ভোটে ফ্যাক্টর হতে চলেছে মহিলা ভোটও। সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এবার সেই লক্ষ্য আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে সচেষ্ট হয়েছেন জয়া'রা।
জয়া জানাচ্ছেন, "মহিলা ভোট অবশ্যই ফ্যাক্টর। বাংলার মহিলাদের যে সুবিধা, যে প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের জন্যে সেই ধরণের কোনও সুবিধাই এখানে এই রাজ্যের মহিলারা পান না। তাই মহিলাদের দাবি নিয়ে লড়াই চলবে।" তবে এখানেই থেমে থাকা নয়, ত্রিপুরায় অনুব্রত-শশী পাঁজা-অরূপ রায়-মদন মিত্রের মতো নেতাদের নিয়ে এসেও প্রচার চালাতে চান কর্মী-সমর্থকরা।