চারপুরুষের বেশি সময় ধরে চলছে এই পারিবারিক ব্যবসা। ঠাকুরদা ও বাবার পর উমেশ জাসওয়ালও এই ব্যবসা সামলাচ্ছেন। ছোট থেকেই ঘোড়াকে ট্রেনিং দেওয়া শিখেছিলেন তিনি। বাবার হাত ধরেই ঘোড়ার সওয়ারির ব্যবসায় আসা তাঁর।
advertisement
বিহারে বাড়ি, কলকাতায় পাকাপাকি বসবাস খিদিরপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে৷ বিহার থেকেই ঘোড়া কিনে এনে কলকাতায় ব্যবসা শুরু। প্রতিদিন সকালে বেরিয়ে যাওয়া আবার সন্ধে নামার পর বাড়ি ফেরা। ময়দান চত্বরে ঘোরাঘুরি করে তাঁর ঘোড়াকে নিয়েই বাড়ি ফিরে যায় সে।
এই ব্যবসায় পুঁজি বলতে ঘোড়া কিনতে লাখ খানেক টাকা আর ঘোড়ার খাবার ও পরিচর্যার খরচ। প্রতিদিন প্রায় ১০০০ টাকা করে ইনকাম হয়ে যায় তবে এখন সেই ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। পহেলগাঁওয়ের হামলার পর দেশের নিরাপত্তা বেড়েছে৷ উমেশ জানাচ্ছেন, কলকাতায় আসছেন না বিদেশি পর্যটকেরা কার্যত তাঁদের ব্যবসাতেও মন্দা চলছে। বাংলাদেশের পর্যটকেরা ময়দান আসতই। তারা ঘোড়ায় চাপতে পছন্দ করে। এখন তাও প্রায় বন্ধ। ভরসা এখন লোকাল ট্যুরিস্ট।
রবিবারের ছুটির দিন হোক কিংবা বিকেল বেলা বহু অভিভাবকরা তাদের কচিকাচাদের নিয়ে ময়দান চত্বরে আসেন। বেশিরভাগ বাচ্চারাই খুব পছন্দ করে ঘোড়ার পিঠে চড়তে। অনেকে তো নিজে নিজেই কন্ট্রোল করে নিচ্ছে তাদের ঘোড়া। এছাড়াও ময়দান চত্বর মানেই আড্ডা, প্রেম আর এখন নতুন ট্রেন্ড ফটোশ্যুট। নিজেদের মুহূর্তকে আরও রঙিন করে তুলতে বহু জুটিই ঘোড়ায় চড়ে থাকেন। এখান থেকেও কিছুটা ইনকাম হয় উমেশদের। তবে দিনের শেষে খুব কষ্ট করেই সংসার চলে। বাড়িতে দুই সন্তান, মা, বাবা ও স্ত্রী। উমেশ বলছেন, ছেলে দুটোকে পড়াশোনা করাচ্ছি ওরা আমার স্বপ্ন। আমি চাই না ওরা ঘোড়া চড়িয়ে খাক, আমি চাই ওরা ঘোড়া চড়ুক।
