গত ডিসেম্বর মাসেই কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির অদূরে সভা করতে গিয়ে বিজেপি-তে বড় ভাঙন ধরানোর প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ হুমকির সুরেই তিনি বলেছিলেন, 'দরজাটা ছোট করে একটু খুলব নাকি?'
আরও পড়ুন: 'ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল', পিংলা থেকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
advertisement
অভিষেকের এই হুঁশিয়ারির পর পরই কোনও বিজেপি বিধায়ক দল বদল করেননি৷ মাঝে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের দলবদল নিয়ে জল্পনা ছড়ায়৷ যদিও সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেন হিরণ নিজেই৷ এর পরেই উত্তরবঙ্গের এক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে৷ শেষ পর্যন্ত রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল৷
বিজেপি বিধায়কের দলবদলের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটারে প্রশ্ন তোলেন, 'দলত্যাগ বিরোধী আইনের ভয়েই কি সুমন কাঞ্জিলালের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিতে ভয় পেল তৃণমূল?'
এরই জবাবে পাল্টা বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র সুদীপ রাহা ট্যুইটারে লেখেন, 'বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল৷ ক্যামাক স্ট্রীটের দরজায় অপেক্ষায় আছেন আরও ১৩ জন৷ বিরোধী দলনেতার মর্যাদা টিকবে তো?'
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর! 'সেই' ট্যুইট নিয়ে স্থগিতাদেশ, তুমুল শোরগোল
সুমন কাঞ্জিলালের দলত্যাগ নিঃসন্দেহে বিজেপি-র কাছে বড় ধাক্কা৷ কারণ এই নিয়ে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গের তিন জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন৷ আদিবাসী অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার সহ গোটা উত্তরবঙ্গই বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত৷ পৃথক রাজ্য, উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা, চা শ্রমিকদের দুরবস্থার মতো বিষয়গুলিকে সামনে রেখে সেখানে শাসক দলকে কোণঠাসা করার সুযোগ রয়েছে বিজেপি-র সামনে৷ এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক বিধায়ক শাসক দলে যোগ দিলে শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গেও দলের সংগঠন দুর্বল হতে বাধ্য৷ যদিও মুখে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি শিবির৷