ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে লোকসভার অন্য তৃণমূল সাংসদদের কাছেও তিনি নোটিস পাঠিয়েছেন।আইন অনুযায়ী দিল্লির বাইরে নিজ রাজ্যের বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদান করতে হলে প্রত্যেক সাংসদকে পৃথক ভাবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। ভোটের দশ দিন আগে সেই আবেদনপত্র পৌঁছে দিয়ে হবে কমিশনে। তাই আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তৃণমূল সাংসদরা এই মর্মে তাদের আবেদনপত্র পাঠিয়ে দেবেন বলে সূত্রের খবর (TMC | President Election 2022)।
advertisement
আরও পড়ুন : ধনখড়ের ইস্তফা গ্রহণ রাষ্ট্রপতির, মণিপুরের রাজ্যপালকে দেওয়া হল বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব!
সুদীপ বন্দোপাধ্যায় যে নোটিশ দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, যদি কেউ বিশেষ কারণে কলকাতায় থেকে ভোট দিতে না পারেন তা হলে তাঁকে কারণ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এপ্রিলে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসা শত্রুঘ্ন সিনহার শপথ গ্রহণও ১৮ তারিখ। ফলে লোকসভায় তাঁকে ওই দিন হাজির থাকতেই হবে। তাই তিনি সংসদেই ভোট দেবেন।
সূত্রের খবর, রাজ্যসভার পক্ষ থেকেও একই ভাবে সাংসদদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, আমাদের দলের সিদ্ধান্ত আমরা আজ ১৮ তারিখ বিধানসভায় ভোট দেব। আমরা কেউই নিতান্ত জরুরি না হলে সংসদে যাব না। ভোট কলকাতাতেই দেব (TMC | President Election 2022)।
তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, যেহেতু ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান তার দু’দিন পরেই, তাই সাংসদদের ঘনঘন দিল্লি-কলকাতা যাতায়াতের পক্ষপাতী নন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক সপ্তাহ আগে থেকেই প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়। ২১ তারিখের আগে লোকসভা অধিবেশনে তৃণমূলের প্রতিনিধিমূলক দু’তিন জন সাংসদ হাজির থাকবেন। রাজ্যসভাতেও একই ব্যাপার। একুশের পরেই বর্ষাকালীন অধিবেশনে যোগ দেবে গোটা তৃণমূল টিম। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর চোখের সামনেই দলের সব সাংসদ, বিধায়করা একযোগে ভোট দিন, এমনটাই চাওয়া হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ ছবিটাও সামনে আসবে। সূত্রের খবর, মথুরাপুরের সাংসদও কলকাতার বদলে ভোট দেবেন দিল্লিতে।