ইতিমধ্যেই এন ডি এ শিবির উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছে। এবার বিরোধী জোট একত্রিত হয়ে কাকে প্রার্থী করে সকলের নজর এখন সেদিকেই রয়েছে৷
ব্যক্তি জগদীপ ধনখড় নিয়ে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা তাদের ব্যক্তিগত মত পোষণ করলেও বাকি বিষয় নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তারা। বিধানসভার উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করেছেন উনি। এমন অনেক বিষয়েই আমাদের দল ও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা রাজ্যপাল পদে থেকে বলা যায় না। আশা করব বর্তমান রাজ্যপালের বদলে যিনিই বাংলার দায়িত্বে আসবেন, তিনি আমাদের সরকারকে সহযোগিতা করে চলবেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন: BJP-র ক্রস ভোটিং দাবিতে তুমুল জল্পনা, রবি রাতেই সব তৃণমূল বিধায়ককে চলে আসতে নির্দেশ
প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূলকে উত্যক্ত করার পুরস্কার হিসেবে ওঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছে।’’ তবে আগামী রণকৌশল নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এখনই মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। বাংলার শাসকদল তৃণমূলের তরফে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না দল। ২১ জুলাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখান থেকেই তৃণমূলের অবস্থান ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু ক্রমশ ছড়াচ্ছে, এবার ভয় ধরাচ্ছে অসমের ঘটনা!
মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ”উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও মন্তব্য করছে না। স্পষ্টভাবে বলছি, আমাদের সর্বভারতীয় সভানেত্রী আগামী ২১ তারিখ দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন। তাতে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা, পর্যবেক্ষণ, অবস্থান সব ঠিক হবে। তার আগে পর্যন্ত দল সব কিছুর দিকে নজর রাখছে, তবে কোনও মন্তব্য নয়।” দলের সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, "আপাতত আমরা ২১ জুলাই কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত৷ দলনেত্রী বৈঠক ডেকেছেন। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই করা হবে।"