উত্তরবঙ্গকে ভাঙার চেষ্টা করেছে বিজেপি। এমনটাই দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। উত্তরের বিজেপি সাংসদরা এই বিষয়ে দিল্লিতেও সরব হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগ, যখনই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তখনই রাজ্য জুড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিয়ে অশান্তি পাকানো হয়৷ প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৩ সালে দেখা যায় পাহাড়ে অশান্তি তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে সেই আন্দোলন। পৃথক গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবিতে চলতে থাকে সেই আন্দোলন। রাজ্য সরকার সেই আন্দোলন নিয়ন্ত্রিত করলেও ফের শুরু হয় সমস্যা। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে ফের শুরু হয় আন্দোলন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে। যার প্রভাবে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি এখনও বিপর্যস্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
শাসক দলের নেতাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার কখনও অবহেলা করেনি উত্তরবঙ্গকে। উত্তরবঙ্গের আট জেলায় একাধিক উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। এই সব বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছে জোড়া ফুল শিবির৷ কোচবিহারের তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, বিজেপির আইটি সেল নানা ভাবে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। রাজ্য নেতাদের সাথে উত্তরের নেতাদের কথার মিল পাচ্ছি না। কেএলও নেতা জীবন সিং সেই আলাদা রাজ্যের কথা বলে ভিডিও পোস্ট করছেন। একইসঙ্গে তার অভিযোগ, যারা ভাগ করতে চাইছেন তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করছেন। তাই জীবন সিংহ অস্ত্র আস্ফালন করেছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়োগ দুর্নীতির ১ নম্বর কিংপিন কে? শুভেন্দু অধিকারীর দাবিতে তোলপাড় বাংলা
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা উত্তরবঙ্গ নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারই ছাপ #BengalStandsUnitedগত ১২ জুলাই, ধূপগুড়িতে দাঁড়িয়ে পৃথক উত্তরবঙ্গের বিরুদ্ধে এভাবেই নাম না করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ বলে কিছু নেই। আলাদা করে যদি ভাবে, চক্রান্ত করে বাংলা ভাগ করব, তবে বলছি, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আটকাব। বাপের বেটা হও, দেখাও বাংলা ভাগ করে দেখাও।