আদালতের এই রায়কে এদিন স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ বলেন, ‘‘২১ জুলাই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন৷ এটা গণতন্ত্রে কখনও হয় না৷ অফিসে বিক্ষোভ হয়, অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়৷ ভারতবর্ষের পরম্পরা ভেঙে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল৷’’
advertisement
এরপরেই ভয়াবহ অভিযোগ আনেন শুভেন্দু৷ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি সবচেয়ে বেশি ভুগেছি৷ আমার বাড়িতে প্রবীণ বাবা-মা রয়েছে৷ তাঁরা গত ২ বছর অনেকবার আক্রান্ত হয়েছেন৷ মিছিল নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে৷ ২৪ ঘণ্টা বাইরে ডিজে বাজিয়ে রাখা হয়েছে, ঘুমোতে দেওয়া হয়নি৷’’
শুভেন্দু জানান, একুশের মঞ্চ থেকে ওই কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার পরেই তাঁরা (রাজ্য বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিজেপি সমর্থক ও প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন৷
বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘নরেন্দ্র মোদি আমাদের শিখিয়েছে আইন কখনও হাতে তুলে নিতে নেই৷ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ জুডিশিয়ারি৷ তাঁরা অত্যন্ত কঠিন, কঠোর এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে ইঞ্জাকশন দিয়েছেন এই কর্মসূচিতে৷ এটাই আমার আর্জি ছিল৷’’
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন, ‘আপনাদের এলাকায় ব্লক থেকে শুরু করে বুথ স্তরে যত বিজেপি নেতা আছেন তার একটা তালিকা তৈরি করুন। আগামী ৫ আগস্ট সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য বিজেপির নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বাড়ি ঘেরাও করা হবে।’
তবে তাঁদের বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকলে তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক। শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, এই কর্মসূচিতে সায় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন, ‘বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে ঘেরাও করতে হবে। নির্বাচনে যেমন ১০০ মিটার দূরে ক্যাম্প হয় ঠিক সেরকমই ক্যাম্প করতে হবে। তাতে কেউ বলতে পারবে না যে অবরুদ্ধ হয়েছে।’
এরপরই অভিষেকের ঘোষিত ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এবার সেই কর্মসূচিতেই ‘না’ কলকাতা হাইকোর্টের।