কলকাতা পুরসভার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নির্বাচনে কার্যত দাঁত ফোটাতে পারল না বামেরা। ২৩টি আসনের সবকটিই জিতে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। যদিও এই নির্বাচনে ছাপ্পার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বামেরা।
আরও পড়ুন: একজন ‘এয়ার হোস্টেস’ দিনে কত ‘ঘণ্টা’ ডিউটি করেন বলুন তো…? শুনলেই চমকাবেন, শিওর!
জয়ে উছ্বসিত ট্রেড ইউনিয়নের নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এই জয়ের প্রতিক্রিয়ায় রবিবার বলেন, “২৩টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসন আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাম সংগঠনগুলি শুধুমাত্র এগারোটা আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: তুরস্কে ভারতের ‘১ টাকার’ মূল্য কত বলুন তো…? চমকে দেবে হিসাব!
প্রবীণ নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “বামফ্রন্ট আমলে অনেক অত্যাচার করেছিল এখন আর সেটা পারবে না। বিধানসভায় জিরো, পঞ্চায়েতে জিরো, লোকসভায় জিরো এইখানেও সবকটা আসলেই জিরো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বাড়িভর্তি বিড়বিড় করছে সারি সারি ‘পিঁপড়ে’…? তুড়িতে তাড়ান! শিখে নিন ছোট্ট সহজ ‘টোটকা’!
অন্যদিকে বাম সংগঠনের ক্লার্কস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, “পুলিশের সরাসরি মদতে পুরসভার সমবায় নির্বাচনে বহিরাগত গুন্ডা দিয়ে পোলিং স্টেশন দখল করে ছাপ্পা ভোট দিয়ে নির্বাচন কে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা বরাবরই বামেদের দখলে ছিল। এই প্রথম সংস্থার দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৩টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নেয় তৃণমূল। বাকি ১২টি আসনে এ দিন ভোটদান পর্ব হয়। ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় সবকটি আসনেই জয়জয়কার শাসক দলের।
বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের যে আস্থা রয়েছে তার প্রমাণ। দীর্ঘদিন বাদে এই সোসাইটির ক্ষমতা এলাম আমরা। সব আসনেই আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।’