পাশাপাশি তাপস রায়ের ক্ষোভ প্রশমনে আজ সকালেই বরানগরের বিধায়েকর বাড়িতে যান দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ বরাবর দলের শৃঙ্খলা মেনে চলা তাপসের গলায় কেন বিদ্রোহের সুর, তা জানতেই উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূল নেতারা৷
আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট, মুক্তি চেয়েও স্বস্তি পেলেন না মানিক
advertisement
তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র নেতা তমোঘ্ন ঘোষকে সম্প্রতি উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক সভাপতি করে বিজেপি৷ এর পরেই তমোঘ্ন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়৷
গতকাল তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খোলেন তাপস রায়৷ তিনি বলেন, 'তমোঘ্নকে দিদিমণির সামনে নিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। ছাত্র পরিষদের জন্য৷ ওর বাবা তপন ঘোষ সাংসদের সচিব। কে যে কার ব্যক্তি স্বার্থে কী করেন, সেটা দেখার। সবাই সব জানে। তমোঘ্নদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়, সেখানে শুভেন্দু-সুদীপ-কল্যাণ চৌবে গিয়েছিলেন। সবাই সব খোঁজ রাখেন। দলকে এখন দেখতে হবে, কাদের কাদের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমি ৫১ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমি অনেক কিছুই জানি৷ আমি কিন্তু চিনতে পেরেছি, চিহ্নিত করেছি।' ক্ষোভের সঙ্গে তাপস রায় আরও অভিযোগ করেন, দলের মধ্যে থেকেই অনেকে তৃণমূলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন৷ যদিও তাপসের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: 'বিলম্বিত বোধোদয়', তাপস রায়কে বিস্ফোরক আক্রমণ দিলীপের! তোলপাড়
উত্তর কলকাতার নেতা হলেও তাপস রায়কে এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সম্প্রতি সরিয়ে দেওয়া হয়৷ এর আগে প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্বও হারান তাপস৷ দলীয় নেতৃত্বের ধারণা, এ সব কিছুর কারণেই ক্ষোভ জন্মেছে দলের অন্যতম পুরনো এই নেতা এবং বিধায়কের মনে৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এই কারণেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর৷
গত বেশ কিছু দিন ধরেই তাপস রায়ের গলায় বিদ্রোহ এবং হতাশার সুর শোনা গিয়েছে৷ রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দেওয়া থেকে শুরু করে দলের ছাত্র নেতাদের আচরণ নিয়ে সরব হওয়া, বার বার মুখ খুলেছেন তাপস৷ মঙ্গলবার তিনি সরাসরি সুদীপের বিরুদ্ধে তোপ দাগায় বরানগরের বিধায়কের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হল তৃণমূল নেতৃত্ব৷