সেই কারণেই যুব তৃণমূল রাজ্য জুড়ে একটি ক্যাম্পেন আয়োজন করেছে, যার মাধ্যমে এই পরিবারের, যাদের প্রিয়জনেরা যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে এখনও আটকে আছেন, তাঁদের সমস্ত রকম প্রয়োজনে পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। সায়নী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মানুষের সাহায্য নিয়ে সেই সব পরিবারের ডেটাবেস তৈরি করা হয়েছে, যাঁদের কোন আত্মীয় ইউক্রেনের এই ভয়াল পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে! ফুঁসে উঠলেন দিলীপ ঘোষ! নিশানায় কিন্তু 'বড়' মুখ
সায়নীর কথায়, ''পশ্চিম বর্ধমানের এ রকমই বেশকিছু পরিবারের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছি। ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সহ তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্বন্ধেও কথাবার্তা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেস তাঁদের যে কোন প্রয়োজনীয়তায় নিশ্চিত ভাবে পাশে থাকবে। এখনও যারা বাড়ি পৌঁছাতে পারেননি, তাদের সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে প্রশাসনকে অবগত করছি আমরা। আগামী দিনে জেলা ভিত্তিক যুবদের হেল্প লাইন নম্বর দেওয়া হবে, যাতে তারা যে কোন সমস্যায় আমাদের এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা চাই, বাংলা তথা ভারতের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা নিরাপদে নিজের বাড়ি ফিরে আসুন।''
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে বাংলার বহু এলাকায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট? কারণ কী জানেন!
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে সকল ভারতীয়দের ফেরানোর ক্ষেত্রে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দেগেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুর দিকে মোদিকে চিঠি দিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু বিজেপি যতই ভারতীয়দের উদ্ধারের বিষয়টিকে প্রচারের হাতিয়ার করছে, ততই সুর চড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়া বা যাদের প্রিয়জনরা এখনও আটকে রয়েছেন, তাদের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এবার সেই একই পথে হাঁটছে যুব তৃণমূল কংগ্রেসও।