সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি কাণ্ডে যে ভাবে বিরোধীরা বারবার আক্রমণ শানাচ্ছে, তাতে রাজ্যের শাসকদলকে তার পাল্টা বোঝানোর পাঠ দেওয়া হবে এই কর্মিসভাগুলিতে। বলা হবে, সাম্প্রদায়িক বিভাজন নয়, মিলেমিশে থাকতে হবে। বিরোধী (বিজেপি) বিভাজনের রাজনীতি করছে। সেটাও বোঝানো হবে৷ এছাড়া, ঢালাও উন্নয়নের কাজ হয়েছে, সেই বার্তা আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া হবে কর্মিসভাগুলিতে৷
advertisement
গ্রামাঞ্চলে প্রচারে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বারবার বলা, এর পাশাপাশি নয়া দায়িত্ব পাওয়া সাংগঠনিক নেতারা কতটা সকলকে নিয়ে চলতে পারছেন তা-ও বোঝা যাবে বলে মনে করছেন নেতৃত্ব। সকলে তাঁকে আদৌ মেনে নিতে পারছেন কি না, তা-ও এই কর্মসূচির মাধ্যমে বোঝা যাবে।
* বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হচ্ছে কর্মীসভা
আসলে জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা কি তা বুঝে নিতে চাইছে শাসক দল। এখন সারাবছর নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি নেয় তৃণমূল। তবে দলের নেতাদের বক্তব্য, সাধারণত সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে ব্লকে ব্লকে কর্মিসভা করলে সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া সুবিধা হয়।
বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি কার্যত বেজে গিয়েছে। তাই এই সব সভা থেকে নিজেদের মেপে নিতে সুবিধা হবে তৃণমূলের। সরাসরি পাওয়া যাবে মানুষের প্রতিক্রিয়া। দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাংগঠনিক জেলায় এই কর্মিসভা হবে। ২১ জুলাইকে সামনে রেখে চলবে এই সভা। এই সভা থেকে বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে যেমন প্রচার হবে, তেমনই রাজ্যজুড়ে যে ঢালাও উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে তা আরও একবার তুলে ধরা হবে।