সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যয়ের অবশ্য দাবি, তিনি ২০১৬ সাল থেকেই তৃণমূলের সদস্যপদ নবীকরণ করেননি৷ ফলে তাঁকে বহিষ্কারের প্রশ্নও ওঠে না৷ বহিষ্কার নিয়ে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয়, ফের টুইট করলেন রাজ্যপাল
৭২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অতীতে কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি৷ গত বছর ভোটে দাঁড়ালেও বিজেপি-র অসীম বসুর কাছে পরাজিত হন সচ্চিদানন্দ৷ এর পর সেই অসীম বসুই যোগ দেন তৃণমূলে৷ এবারের পুরভোটে সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিটও দেয়নি দল৷ সেই ক্ষোভেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রবীণ এই নেতা৷
advertisement
আরও পড়ুন: দাদা তৃণমূল, ভাই বিজেপি! দুই দলের প্রার্থী হয়েও সম্পর্ক অটুট রাজেশ- রাজীবের
অন্যদিকে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রথমে প্রার্থী করা হয় প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে৷ কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল করে ওই ওয়ার্ড থেকে বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করে দল৷ সেই ক্ষোভেই ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন তনিমা৷ প্রকাশ্য দলের তরফে অনুরোধ করা হলেও এবং বোঝানো সত্ত্বেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তনিমা৷ সেই কারণেই তাঁকেও বহিষ্কার করল তৃণমূল৷
সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, তনিমা চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রতন মালাকার৷ কিন্তু দলের অনুরোধে শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি৷