শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যের ১৩ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। তল্লাশি এখনও চলছে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ভাষায়, '' আজকে দেশের যা অবস্থা তা সাধারণ মানুষ দেখছেন। একটা অদ্ভুত পরিস্থিতিতে আছে। বিরোধী শক্তি কথা বলতে চাইলেই, কেন্দ্রের শাসক দল নখ, দাঁত নিয়ে বেরিয়ে আসছে। বাংলায় এটা বেশি করে হচ্ছে। গতকাল ২১ জুলাই বিশাল সমাবেশ করা হয়েছে। এই সমাবেশের পর মাঝরাত থেকেই প্রতিহিংসা শুরু হয়েছে। মানুষের মন ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। যদিও বাংলার মানুষ তা মেনে নেবেন না। আমাদের মেরুদণ্ড আছে।''
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল, নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের কাছে গেল বিশেষ নির্দেশ!
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, ''সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন বারবার বিরোধী দলনেতার কথা বললেও ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখিনি। এই প্রতিহিংসার ফলে আমাদের নেতা-কর্মীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হলে, ছেড়ে কথা বলব না। ইডি, সিবিআই-কে ধরব৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তাপস পাল, সুলতান আহমেদকে হারিয়েছি। বলিষ্ঠ নেতাদের হারিয়েছি৷ এবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, ছেড়ে কথা বলব না৷ হাজার চাপের কাছেও আমরা মাথা নত করব না। এই ধরণের চাপ সৃষ্টি করে যা করছে এর তীব্র বিরোধিতা জানাই।''
আয়কর বিভাগের তরফে তল্লাশি চলছে পিংলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও। সেই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ''অদ্ভূত ব্যাপার! ১৩টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি চলছিল। পিংলাতেও ইনকাম ট্যাক্স রেইড করছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়ের বাড়িতে। সাঁড়াশির মাথা ভোঁতা কী করে করতে হয় সেটা আমরা জানি।''
আরও পড়ুন: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, মানুষের কাছে পৌঁছতে বিজেপির অস্ত্র তেরঙ্গা যাত্রা!
ইতিমধ্যেই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না৷ কোনও নোটিশ না দিয়েই এই তল্লাশি চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ''পরেশ অধিকারী তাঁর অসুবিধার কথা বলছেন। এই সব এজেন্সির নিরপেক্ষতা নেই। যদি নিরপেক্ষতা থাকত তাহলে শুভেন্দুকে অন্তত জিজ্ঞাসাবাদ করত।''