১৯৬৭ সালে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ধরমবীরের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল রাজ্যসভায়৷ বামেদের সাংসদ ভূপেশ গুপ্ত এই প্রস্তাব এনেছিলেন। অভিযোগ ছিল তিনি নিজের মতো করে সরকার চালাচ্ছিলেন। যা নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক জলঘোলা হয়। এরপর বেশ কয়েক বছর আগে ফের রাজ্যসভায় স্বতন্ত্র প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তৎকালীন রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। দাবি ছিল, 'জনগণমন' নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে তিনি অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর বক্তব্যে ছিল, 'পঞ্চম জর্জকে খুশি করতেই রবীন্দ্রনাথ জনগণমন গেয়েছিলেন।'
advertisement
আরও পড়ুন: কু-প্রস্তাবে রাজি হননি গৃহবধূ, ঘরে ঢুকে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল যুবক
সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, তাঁর ড্রাফট নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল দাবি করেছে, 'স্বাধীনতার পর বাংলায় অনেক রাজ্যপাল এসেছেন, বিতর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু তারা কখনওই সাংবিধানিক গন্ডি লঙ্ঘন করেননি। ভুলেও যাননি তাঁদের পদটা আসলে আলঙ্কারিক। তাঁরা সাংবিধানিকভাবে শীর্ষে থাকলেও আসলে ক্ষমতা কিন্তু রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতেই৷ তাঁদের সিদ্ধান্তকে তিনি সাংবিধানিক রূপ দেন। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল মনে করেন, তিনিই বোধহয় রাজ্যের শেষ কথা।'
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় আতঙ্ক! বাইপাসে মূক-বধির তরুণীকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, 'আইনজীবী বলে কথায় কথায় সংবিধানের ধারা উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। কিন্তু কখনওই বলেন না ১৯৪৯ সালে লেখা সংবিধানের ১৬৩ ধারায় ঠিক কী বলা রয়েছে। আসলে এই রাজ্যপাল পদটি অটুট রাখা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এই পদটি রাজনীতিবিদদের রিটায়ারমেন্টে বেনিফিট। সাধারণভাবে কেউই নির্বাচিত সরকারের সাথে কেউই সংঘর্ষে যেতে চান না। কিন্তু বিজেপির প্রাক্তন এই মন্ত্রী আসলে বাংলা সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করার হোমওয়ার্ক নিয়ে এসেছেন অমিত শাহদের কাছ থেকে৷ ভুলে যান মানুষের কাছে জবাবদিহি তাঁকে করতে হবে না, করতে হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের৷ যদি তাঁরা ভুলও করেন জনগণ তাঁদের শিক্ষা দেবেন৷'
ABIR GHOSHAL