রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফৎ জানানো হয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পবন বর্মাকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি নিয়োগ করেছেন। প্রসঙ্গত, জেডি (ইউ)-এর এই প্রাক্তন সাংসদ নভেম্বর মাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বিহারের রাজনীতিতে পবন বর্মা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি দলবিরোধী কাজের জন্য প্রশান্তকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন নীতীশ কুমার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তারপরেই জেডি (ইউ) থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল পবন বর্মাকেও।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের বুথে চমকের নাম আশির বিজিত রায়চৌধুরী, ভোটের সকালে তিনিই 'প্রথম'
তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও এর আগে ডাক পেয়েছিলেন প্রাক্তন জেডিইউ নেতা পবন বর্মা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, দল যেহেতু সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠন বাড়াচ্ছে, তাই ওয়ার্কিং কমিটিতেও অন্যান্য রাজ্যের নেতাদের জায়গা দেওয়া হবে৷ বর্তমানে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটিতে একুশ জন রয়েছেন৷ তা বাড়িয়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে তিরিশ জনকে জায়গা দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলের কেউ অশান্তিতে জড়ালে কড়া পদক্ষেপ, আশ্বাস দিলেন অভিষেক
পবন বর্মা একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ। ভুটানে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবেই একটা সময় তিনি কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে অবশ্য রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। প্রথমে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপদেষ্টার পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে জেডিইউয়ের টিকিটেই রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নীতীশ কুমারের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। প্রশান্ত কিশোরের পর তাঁকেও দল থেকে সরিয়ে দেয় জেডি (ইউ)। সেই পবন বর্মাকেই এবার গুরুত্বপূর্ণ পদ দিল তৃণমূল।