ছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেন, হল এক্সপ্রেস ট্রেন! দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ১৬ ট্রেনে পরিবর্তন। যার ফলে বাড়ল গতি, কমল স্টপেজ। এক্সপ্রেস হয়ে যাওয়ায় বাড়ল ভাড়া। যাতায়াতের জন্য অসুবিধায় পড়লেন খড়গপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোলের মানুষ। রেল সূত্রে খবর, একদিকে গতি বাড়ায়, চলবে বেশি ট্রেন। অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রেন চালানো যাবে। বর্তমানে কয়লা, আকরিক নিয়ে দ্রুত পণ্য পৌঁছবে। পণ্যবাহী ট্রেন চললে বাড়বে আয়। যার জেরে এক ধাক্কায় বেড়ে গেল ট্রেনের ভাড়া।
advertisement
আরও পড়ুন- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগোলেন আরও এক ধাপ, ইতিহাস সৃষ্টির অপেক্ষায় ঋষি সুনক
বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেমন যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের, তেমনই এক্সপ্রেস ট্রেন হয়ে যাওয়ায় কমল ট্রেনের গতি। রেল সূত্রে খবর, এর পরিবর্তনের জেরে কমে গেল স্টপেজ। আর তার জেরেই ব্যাপক ক্ষুব্ধ জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেন হয়ে গেল আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি এক্সপ্রেস ৷ হাওড়া-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন হয়ে গেল হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস।
এ ছাড়া খড়গপুর থেকে গোমো, খড়গপুর থেকে হাতিয়া, খড়গপুর থেকে গোমো প্যাসেঞ্জার ট্রেন হয়ে গেল এক্সপ্রেস ট্রেন। একাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেনের এ ভাবে এক্সপ্রেস ট্রেন হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রীরা। তার প্রধান কারণ ভাড়া বেড়ে যাওয়া। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রে বেস ফেয়ার বা নূন্যতম ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এক্সপ্রেস ট্রেন হয়ে যাওয়ায় সেই ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা। যার ফলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই সব ট্রেনের ওপরে খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার একটা বড় অংশের যাত্রী নির্ভর করে থাকেন৷ দৈনিক রোজগারের ওপর যারা নির্ভরশীল তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'C' দিয়ে নামের শুরু? কী বলছে এমন মানুষদের নিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র?
সূত্রের খবর, এক্সপ্রেস ট্রেন হয়ে যাওয়ার ফলে ভাড়া থেকে রেলের আয় বাড়বে। এক্সপ্রেস ট্রেন হয়ে যাওয়ায় গতি বাড়বে ট্রেনের ৷ ফলে একটি নির্দিষ্ট সেকশনে যত সংখ্যক ট্রেন চলে তার চেয়ে বেশি ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। আর এখানেই লুকিয়ে আসল বিষয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের ৷ রেল বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেকশন ক্যাপাসিটি আছে৷ ধরে নেওয়া যাক একটি সেকশনে দিনে ২৪টি ট্রেন চলে। তার মানে প্রতি ৬০ মিনিট অন্তর এই সেকশনে ট্রেন চলে। এখন যদি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে এক্সপ্রেস ট্রেন করে দেওয়া হয়৷ তাহলে ট্রেনের গতি বাড়বে। গতি বাড়িয়ে দেখা গেল প্রতি ৬০ মিনিটের বদলে প্রতি ৫০ মিনিট অন্তর ওই সেকশনে ট্রেন চালানো যাচ্ছে। তাহলে দিনে ২৪০ মিনিট সময় বাঁচল। এই সময়ে আরও চারটি ট্রেন চালিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। সেই ট্রেন মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার বা পণ্যবাহী হতে পারে।
চলতি ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের টার্গেট জঙ্গলমহল। এই এলাকা থেকে যাতে প্রচুর মানুষ আসেন সেই দিকেই লক্ষ্য। কিন্তু রেলের কারণে প্রচুর অসুবিধা হচ্ছে বলে মানছেন নেতারা। বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো জানিয়েছেন, ‘‘অসুবিধা ভীষণ হচ্ছে। তবে আগেভাগে বাসে করে কর্মীরা আসছেন। তারা থাকছেন কলকাতায়। রেল যথাযথ না থাকলেও কষ্ট করে আমাদের জেলার মানুষ আসবেন সমাবেশে যোগ দিতে।’’