পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অলোক কুমার জানিয়েছে গর্ভবতী স্ত্রীর গর্ভপাত ঠেকাতে তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশু বলি দিয়েছে সে। সেই তান্ত্রিক নির্দেশ দেয় যে নবরাত্রির মধ্যে নাবালিকাকে বলি দিলে, তার স্ত্রীর সন্তান হবে। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে অভিযুক্ত অলোক কুমারের।
খুনের অভিযোগের পাশাপাশি অভিযুক্ত অলোক কুমারের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে পুলিশি জেরায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে অভিযুক্ত অলোক কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর অলোক জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তার পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে সে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুটিকে ধর্ষণও করে সে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
advertisement
প্রসঙ্গত রবিবার সকালে তিলজলার ওই আবাসনের বাইরে ময়লা ফেলতে গেছিল সাত বছরের নাবালিকা। কিন্তু সে আর নিজের ফ্ল্যাটে ফেরেনি। এর পরেই শিশুটির খোঁজ শুরু করে বাবা-মা। কিন্তু শিশুটি বাড়ি না আসায় শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্ত অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি শুনে কোনও তৎপরতাই দেখায়নি। এর পরেই ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। সেখানে দেখা যায়, ময়লা ফেলার পরে আবাসনের মধ্যে প্রবেশ করেছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকেনি। তখনই সন্দেহ হয়, আবাসনের মধ্যেই অন্য কোনও একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে সে।
আরও পড়ুন, আজকেও ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে, প্রায় সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি
আরও পড়ুন, রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চমক রাজ্যের, নজরে বিশেষ সাঁওতালি নৃত্যানুষ্ঠান
ওই আবাসনে মোট ৩২ টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেই সময়ে অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে যায় পুলিশ। তখন অলোক কুমার রান্না করছিল। তার ফ্ল্যাট তল্লাশির সময়ে একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে সেই বস্তা খুলতেই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ প্রথম থেকে তৎপর হলে নাবালিকার মৃত্যু আটকানো যেত। থানার সামনেও বিক্ষোভ শুরু হয়। শেষে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।