এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, মকর সংক্রান্তিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কনকনে ঠান্ডায় সাগর স্নানের অভিজ্ঞতাও এবার হবে না। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা বা জাঁকিয়ে শীত পড়ার এ সপ্তাহে আর কোনও সম্ভাবনা নেই। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা ও ঠান্ডা হাওয়া বইতে পারে।
কলকাতায় আগামী কয়েক দিন আকাশ কার্যত পরিষ্কার থাকবে। সকালে হালকা ধোঁয়াশা বা কুয়াশা। পরে মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে কমবে শীতের আমেজ।
advertisement
আরও পড়ুন - চার কিশোর-কিশোরী চোখে স্বপ্ন নিয়ে জাতীয় মঞ্চে তলোয়ার হাতে, সাব জুনিয়র ন্যাশানালে বড় পরীক্ষা
বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ১ ডিগ্রি কম। গতকাল ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩১ থেকে ৯২ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ১৪ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি অর্থাৎ, শুক্রবার থেকে রবিবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তার আগে পর্যন্ত একই রকম আবহাওয়া থাকবে। কলকাতায় শুক্রবার পর্যন্ত ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকবে তাপমাত্রা। শুক্র ও শনিবার তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
সোমবার থেকে ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করবে হাওয়া। আগামী সপ্তাহে শীতের আরও একটা জাঁকিয়ে স্পেল আসতে চলেছে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। জেলায় জেলায় জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি তৈরি হবে আরও একবার।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের মতো শহরের আয়ু আর মাত্র কটা দিন! ধ্বংসের পিছনে কারণ জানলে অবাক হবেন
আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে কোথাও কোথাও হালকা মাঝারি কুয়াশা থাকবে,পরে পরিষ্কার আকাশ। শুক্রবার ও শনিবার তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বাড়বে। দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। রবিবারেও একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। সোমবার থেকে ফের তাপমাত্রা একটু একটু করে কমবে। অবাদ উত্তরে হয় আগামী সপ্তাহে আরও একবার হাড়কাঁপানো শীতের অনুভূতি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গে ও তাপমাত্রা বাড়বে আগামী কাল থেকে। শনিবার ও রবিবার দার্জিলিং কালিম্পং এ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা। শনিবারের পর থেকে কুয়াশার পরিমাণ আবারও বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার দাপট চলছে। আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু সরে যাবে। এর ফলে বৃষ্টিপাত কমে যাবে তামিলনাড়ু পন্ডিচেরী, কড়াইকাল, কেরল, মাহে, অন্ধ্রপ্রদেশে এবং কর্নাটকে।
জম্মু-কাশ্মীর লাদাখ এবং কাশ্মীর ভ্যালিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্যাপক তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে হিমাচল প্রদেশেও। হিমালয়ের উত্তর-পশ্চিম দিকের পার্বত্য এলাকায় রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি ও জলছার পরিস্থিতি চলবে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা। সমতলেও এর প্রভাব পড়বে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে বৃষ্টি ও ঝঞ্ঝার পরিস্থিতি আসতে পারে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়।
পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকতেই উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতলে দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ উধাও হয়েছে। তবে আজও শীতল দিনের পরিস্থিতি থাকবে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের কিছু অংশে।
আগামিকাল থেকে দুদিন তাপমাত্রা বাড়বে দিল্লি সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা ও বাড়তে পারে বিভিন্ন অংশে। তারপর অবশ্য আরও একবার তাপমাত্রা নামবে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত।
পূর্ব ভারতে আগামী তিন চার দিনে তাপমাত্রা বাড়বে দুই থেকে চার ডিগ্রি। মধ্য ভারতীয় আগামী ২৪ ঘণ্টা তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়বে। তারপর আগামী কয়েকদিন একই রকম থাকবে তাপমাত্রা গুজরাতেও। তারপর থেকে তাপমাত্রা নামতে পারে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী সপ্তাহে আরো একবার শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সরে গেলেই অবাধ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের হিমেল হাওয়ায় শীতল হতে পারে রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি।
উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্য থেকে শুরু করে পূর্ব ভারতের রাজ্য পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকবে আরও একবার। রাজধানী দিল্লি থেকে পাঞ্জাব, হরিয়াণা, চণ্ডীগড় উত্তর প্রদেশ এবং বিহার পর্যন্ত এই ঘন কুয়াশার চাদর ফের শুরু হবে শনিবার সকাল থেকে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতার শূন্যে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। সেই কুয়াশা কেটে আগামী সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস।