‘দেশ সেকুলার, প্রেসিডেন্সি সেকুলার’। এই থিমেই হচ্ছে পুজো। শুধু ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, সর্বধর্ম সমন্বয়ে পুজো করা হবে বলে জানাচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের টিএমসিপি ইউনিট। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী তথা এক মহিলা পুরোহিত এই পুজোর পৌরহিত্য করবেন। ইতিমধ্যেই এই পুজোর বিষয়ে হ্যাশট্যাগ #PresidencyPujaKorche দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রচার।
advertisement
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের ইউনিটের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, "প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি, গত ১৫০ ঘণ্টা ধরে আমাদের এসএফআই ছাত্রবন্ধুরা তাদের নিজস্ব কিছু দাবিতে অবস্থানরত। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটেই পূজো করা হবে।"
ছাত্র ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা রাজনৈতিকভাবে বিপক্ষ, সেই এসএফআই-আইসির সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আমন্ত্রিত প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনীরাও।
টিএমসিপির প্রেসিডেন্সির ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অরিত্র মণ্ডল জানিয়েছেন, “আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আসা না আসা তাঁদের ব্যাপার। তবে অনেকেই আসবেন বলে কথা দিয়েছেন।” পুজো করবেন প্রাক্তনী রাজন্যা হালদার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সূত্রে খবর, ক্যাম্পাসে এক গন্ডগোলে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজন্যা। সেই মহিলা পুরোহিত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর হাতেই পুজো পাবেন বাগদেবী।
প্রেসিডেন্সির ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনওদিন কলেজ চত্বরে সরস্বতী পুজো হয়নি। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সরস্বতী পুজো করার অনুমতি চেয়ে ডিন অব স্টুডেন্টসের কাছে আর্জি পেশ করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
চিঠিতে তারা জানিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তারা এ বছর সরস্বতী পুজো করতে চায়। সে জন্য ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ ব্যবহারের অনুমতি চায় তারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতি দেননি। জানানো হয়েছিল, বিশ্ববিদ্য়ালয় ডিরোজিও-র পন্থায় বিশ্বাসী, এই ক্যাম্পাসে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই এখানে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না।
কিন্তু কলেজ ক্যাম্পাসে পুজো নিয়ে কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানানোর পরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জানিয়ে দিয়েছিল, প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজো তারা করবেই। বলেছিল, ‘‘পুজো কেউ আটকাতে পারবে না।’’