প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রশ্ন পত্রের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে অবজেক্টিভ বা মাল্টিপিল চয়েস টাইপেরই প্রশ্ন থাকে। পাশাপাশি ফিরিয়ে আনা হয়েছে প্রজেক্ট ওয়ার্ক-ও। কোনও কোনও বিষয়ে ২০ আবার কোনও কোনও বিষয়ে ৩০ নম্বরের প্রজেক্ট ওয়ার্ক থাকছে। মূলত ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা না নেওয়া ও ২০২২ অর্থাৎ চলতি বছরে সিলেবাস কমিয়ে আনা হয়েছিল। তার সঙ্গে বদল করা হয়েছিল প্রশ্নপত্রের ধরনেও। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন "ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। সবদিক মাথায় রেখে আমরা পুরনো নিয়মেই ফিরে যাচ্ছি। দেশ জুড়ে একাধিক বোর্ড গত দুবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্যার মুখে পড়েছিল। আমরা প্রত্যেকটি বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে চলছি।"
advertisement
আরও পড়ুন: পরিকাঠামো ক্ষেত্রে স্বাদ বদল, রাজ্যে এবার সেমি আরবান পলিসি
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঘরে ঘরে জ্বর! ডেঙ্গু নাকি সিজনাল ফিভার, বুঝবেন কী করে, জানুন করণীয়
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। পুরনো নিয়মে ফিরে যাওয়ায় আদতে উপকার হবে ছাত্র-ছাত্রীদেরই, দাবি করছেন কলকাতার একাধিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। ২০২৩ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১৪ মার্চ থেকে। শেষ হবে ২৭ মার্চ। ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে নেওয়া হয়েছে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি। পুজো মিটলেই জেলায়-জেলায় পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করতে যাবেন সংসদের আধিকারিকরা। তবে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কত সংখ্যক পরীক্ষার্থী হবে সেদিকেই নজর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়