স্পিকারের এই ঘোষণার পরে উচ্ছসিত বিধায়করা। কারণ খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ সরকার বিরোধী সব পক্ষের বিধায়কদেরই। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, "আমাদের মতো অনেক বিধায়ক আছেন যাঁরা দূরবর্তী অঞ্চল থেকে এখানে আসেন। এখানে তাঁদের থাকার জায়গা বলতে এই এমএলএ হোস্টেল। এখানেই আমাদের খাওয়া দাওয়া করতে হয়। আমাদের পাশাপাশি আমাদের বিধানসভা এলাকার বহু মানুষ যাঁরা কর্মসূত্রে এখানে থাকেন, তাঁরাও আসেন। তাঁরাও যেমন আশা করেন তেমনি বিধায়কেরও ইচ্ছা হয়, তাঁরা যেন অভুক্ত না থাকতে হয়। কিন্তু সেই সামান্য কিছু খাওয়ানোর সুযোগও থাকে না। "
advertisement
বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় কটাক্ষের সুরে বলেন, "যেমন সরকার তার তেমনই ক্যান্টিন আর তার তেমনই খাবার। সব জায়গাতেই দলের লোক চাই। দলের লোক ঢোকাতে হবে। তাহলে ভাল কিছু কী করে আশা করা যায়। একদিকে খাবারের দাম বেশি অন্যদিকে মানও খারাপ। কোথায় যাবেন বিধায়করা? বাধ্য হয়েই এই খাবার খেতে হচ্ছে।"
যদিও খাবারের দাম নিয়ে দুটি মত রয়েছে। বিধায়কদের মধ্যে একদল মনে করেন, সাধ্যের মধ্যেই যেন স্বাদ পূরণ হয়। অর্থাৎ, স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার যেন পাওয়া যায় ক্যান্টিনে। অন্যদল মনে করেন যেমন, দাম একটু বেশি হলেও ক্ষতি নেই খাবারের মান নিয়ে আপস যেন না করা হয়। যদিও এই বিষয়ে খানিকটা রসিকতা করে স্পিকার বলেন, "আপনাদের কেউ সন্তুষ্ট করতে পারবে না। কেউ বলবে নুন বেশি কেউ বলবে ঝাল কম। এসব নিয়েই চলতে হবে।"
আরও পড়ুন: নামমাত্র খরচে ট্রেনে ঘুরে আসুন অসম-অরুণাচল! এসে গেল ভারত গৌরব ট্রেনের বিশেষ ট্যুর প্ল্যান
এদিকে খাবারের মান খারাপ হওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন বিধায়ক হোস্টেলের মধ্যেই রান্না করার ব্যবস্থা করেছিলেন। নিরাপত্তার কারণে সেগুলি অবশ্য বন্ধ করতে বলেন স্পিকার। বিধায়কদের সতর্ক করে তিনি বলেন, "ঘরে রান্না করে খাবেন না। আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসে। আমি সিজ করতে পারি। বিধানসভার গরিমার পাশাপাশি এটাও বিধায়কদের দেখার দায়িত্ব।" হোস্টেল পরিচ্ছন্ন রাখার উপরেও জোর দিতে বলেন স্পিকার।