এদিন শোভনদেব বলেন, "সৎ পথে এত তাড়াতাড়ি এত সম্পত্তি রোজগার করা যায় না৷ পুলিশ তদন্ত করছে। দোষী প্রমাণিত হলে চরম শাস্তি হওয়া দরকার বলে মনে করি৷ "
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমে মাত্র ৬ লক্ষ টাকা বার্ষিক বেতনের চাকরিতে এতগুলো বাড়ি, রিসর্ট, হুক্কা বার কী ভাবে তৈরি করেছিলেন শান্তনু, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইডি-র দাবি শিক্ষকের চাকরি বিক্রির টাকা থেকেই শান্তনুর এত প্রতিপত্তি।
advertisement
রাজনীতিতে আসার পর ধুমকেতুর গতিতে উত্থান হয়েছে শান্তনুর। মাত্র কয়েক বছর আগে যে ছেলে বাজারে সিমকার্ড বিক্রি করত, তাঁর হঠাৎই এই বিশাল সম্পত্তি হদিস দেখে হতবাক স্থানীয়রা। এলাকার বাসিন্দা সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "গ্রাম্য এলাকায় থেকে বিপুল টাকার সম্পত্তি করেছে শান্তনু। ধরা না পড়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। যেমন মাগুর মাছ জলের তলায় থাকে সহজে উঠে আসতে চায় না তাই এলাকার লোকেরা নাম দিয়েছি পাকা মাগুর।"
শান্তনুর পরিচিত মহলের একাংশের দাবি, রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি দায়িত্বভার পাওয়ার পর যুব নেতা হিসাবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ কয়েকটি জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তারকেশ্বর থেকে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য হন তিনি।
সূত্রের খবর, এর পর থেকে তাঁর সম্পত্তি ও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু হয়। শুধু তাই নয় ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য সুপারফাস্ট গতিতে এগিয়ে চলে শান্তনু। জিরাটে এসটিকেকে রোডের পাশে 'দ্য স্পুন' নামে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে তাঁর। চুঁচুড়া, চন্দননগরে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটও আছে শান্তনুর বলে খবর সূত্র মারফত। সূত্রের খবর, শান্তনুস্থাবল সম্পত্তির পরিমাণ কুড়ি কোটি টাকার বেশি।