বৃহস্পতিবারই টেট চাকরিপ্রার্থীদের অনশন আন্দোলন স্থলে রাজ্যকে পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাথমিক পর্ষদ চত্বরে পুলিশকে ১৪৪ ধারা কার্যকরের নির্দেশ দেয় আদালত। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টের অন্তর্বতীকালীন নির্দেশ বহাল থাকবে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক পর্ষদ অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, পুলিশকে নির্দেশ দেন পর্ষদ কর্মীদের ঢোকা-বেরনো সুনিশ্চিত করার।
advertisement
করুণাময়ীতে ’১৪ বনাম ’১৭। আন্দোলনে মুখোমুখি ২০১৪ ও ২০১৭ টেট উত্তীর্ণরা। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের পালটা অবস্থানে ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকের ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন তাঁরা। দাবি, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের দাবি ‘অন্যায্য’। তাঁরা যদি এখন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তা হলে আসনে কোপ পড়বে। সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা।
চারদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে টেট পাশ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আমরণ অনশন চলছে। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়েছেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। ইতিমধ্যেই অনশনের ৪৭ ঘণ্টা, ধর্নার ৬৮ ঘণ্টা পার হয়েছে। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক আন্দোলনকারী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা দু’-দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ফের ইন্টারভিউ দিতে নারাজ।
আরও পড়ুন: ভোট জট কাটল, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন মেডিক্যাল কলেজে
আরও পড়ুন: 'কোনও বিরোধ নেই'... ! সিঙ্গুর নিয়ে দলীয় মুখপত্রে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল কংগ্রেস
নেই খাওয়া–দাওয়া নেই, পালা করে রাত জাগছেন আন্দোলনকারীরা। রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সাদা কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে নিজেরাই বলছেন, তাঁরা জীবন্ত লাশ! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বলু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চান সবার যোগ্যতার নিরিখে চাকরি হোক। এখানে চাকরি দেয় পর্ষদ। একজন অসুস্থ হলেই কি তাঁকে চাকরি দেওয়া যায়! যোগ্য কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ইন্টারভিউয়ে বসুন। একদল বিরোধী চান না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন। চান রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হোক। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এটা করা হয়েছে। তবে আমরা চাইছি, স্বচ্ছভাবে, নৈতিকভাবে নিয়োগ করতে। আমার কাছে নির্দেশ আছে কোনও একটি সুপারিশও গ্রহণ করা হবে না। আমরা এখানে পর্ষদের উপর ভরসা রাখছি।’