মুর্শিদাবাদের কর্মশিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষার্থী আব্দুল হামিদ।মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তাঁর। উত্তরপত্র বাতিল করতে অভিনব পন্থা নেওয়ার অভিযোগ আনে সে। ২০১৩ সালের নিযোগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি।১৭ জানুয়ারি ২০২১ পরীক্ষা হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের। আব্দুল হামিদ পরীক্ষার্থী পরীক্ষার বিষয় হিসেবে ৭ নং দাগে গোল দাগ দেয় অপশন A এবং B তে। কিন্তু কোনভাবেই সে C অপশনে গোল দাগ দেয়নি বলে তাঁর দাবি। অথচ C অপশনে দাগ দিয়ে উত্তরপত্রটি বাতিল করার অভিযোগ করা হয় মামলায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ওজন কমে ১০৯! হাজতবাসে অনুব্রতর শারীরিক পরিস্থিতির আপডেট
আসল OMR শিট পেশ করেন আজ আদালতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য,"উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর অন্যান্য সব অপশনে গোল দাগ একই রকম। শুধু C অপশনে অন্যরকম গোল দাগ কেন হবে? পরীক্ষার্থী যে কলমে গোল দাগ দেন তা আদালতে নিয়ে এসেছেন পরীক্ষার্থী। সেই কলমের কালি সঙ্গে কেন মিলিয়ে দেখবে না কোনও সংস্থা?'' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে হয়তো এবার...।"
আদালত CFSL কে দিয়ে উত্তরপত্র পরীক্ষা করতে চায়। যদিও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইনজীবী তীব্র আপত্তি করেন এমন ফরেনসিক পরীক্ষার। ১১ অগাস্ট ২০২১ রেজাল্ট প্রকাশ হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের। আব্দুল হামিদ আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, "বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য OMR শিট ও কলম সিএফএসএল কাছে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'প্রাইভেট টিউশন' নিয়ে কড়া রাজ্য! রাজ্যজুড়ে ৪৫টি স্কুলের ২০০ শিক্ষককে নোটিশ
শিক্ষা আঙিনায় নিয়োগ নিয়ে চলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। "দসিএফএসএল কে ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে।" রিপোর্টে থাকবে,আব্দুল হামিদের পরীক্ষার ব্যবহার করা পেনের কালি OMR শিটে C অপশনে ব্যবহার হয়েছে কিনা।উত্তরপত্রে সমস্ত গোল মার্কের Writing Pressure এক কিনা। সমস্ত গোল মার্ক একই রকমের কিনা। ৭ নং বক্সের C অপশনের গোল মার্ক আলাদা কিনা। কালো কালির রসায়নিক উপাদান প্রত্যেকটার এক কিনা। আব্দুল হামিদ জানান, শেষ চাকরি প্রাপকের নম্বর ৫৯ আর তিনি পেয়েছেন ৬৫। তাঁকে বাদ দিতেই উত্তরপত্রটি বাতিল দেখাতে C অপশনে গোল দাগ দেওয়া হয়েছে। এরকম অনেককেই ঠকানো হয়েছে।