সোমবার থেকেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার সূচির বদল ঘটে৷ তাঁর কাছে প্রাথমিক নিয়োগ-সংক্রান্ত মামলাগুলো আসার পর, মঙ্গলবারই বিচারপতি সিনহার এজলাসে ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা ওঠে৷
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের উপর গুলি চালানোর ঘটনা, বাইডেনের নির্দেশে গঠিত হল নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন
সেখানে বিচারপতি অমৃতা সিংহ প্রশ্ন, ‘‘ওই ৪২ হাজার নিয়োগের তালিকা কোথায়? কারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছিলেন?’’ মামলাকারীর আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শূণ্যপদের জন্য প্রায় ৫ শতাংশ অতিরিক্ত তালিকা তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের তরফ থেকে এখনও কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷’’
advertisement
মামলাকারীদের যুক্তি শোনার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্যানেল উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তালিকা রাখা তো দরকার! প্যানেল থেকেই কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য তা বোঝা সম্ভব৷’’ প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়, ‘‘২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেলের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: চাকরি ছাড়ার জন্য দেওয়া হল ৮৩ লাখ টাকার লোভ, প্রত্যাখ্যান করলেন রেস্তরাঁকর্মী
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নিয়োগের তালিকা থাকা দরকার৷’’ এরপরই তিনি ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগের প্যানেল আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ ৩০ জুলাই আদালত এই মামলাটি আবার শুনবে৷
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ২০১৬সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ অনিয়মের অভিযোগ আনেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে সোমনাথ সেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টে এই মামলাটি করেন।
আগামী ৩০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আদালত৷ তার আগে ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় পর্ষদকে।