সুরজিৎ দাস নামে ওই ট্যুইটার ব্যবহারকারী তথাগত রায়কে প্রশ্ন করেন, ''দিলীপ ঘোষ বলেছেন 'উনি (তথাগত রায়) দলে থাকতেই বা দলের কি লাভ হয়েছে ' এই বিষয়ে আপনি কিছু বলবেন না? এর জবাবেই ওই ট্যুইটে তথাগত লেখেন, ''ক্লাস এইটের স্তরে তো নামতে পারব না ভাই!'' অর্থাৎ, এটাই স্পষ্ট, দিলীপ ঘোষকেই ফের নিশানা করলেন তথাগত রায়।
advertisement
সাম্প্রতিক কালে দিলীপ ঘোষ সহ (Dilip Ghosh) রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন তথাগত রায়। তাঁর এক-একটি ট্যুইট রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দলের অন্দরে। পাল্টা তাঁকে দিলীপ ঘোষরা আক্রমণ শানালেও তাতে বিশেষ পিছপা হননি মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তথাগত রায় এবং দিলীপ ঘোষ - দলের দুই অভিজ্ঞ নেতা যেভাবে পরস্পরকে কদর্য আক্রমণ করে চলছিলেন, তা বঙ্গ বিজেপি-র কাছে ক্রমেই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছিল৷
দিন কয়েক আগে তথাগত লেখেন, ''বিজেপির শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে করা উচিত।আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে।বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।'' যদিও তথাগতর এই ধারাবাহিক আক্রমণের নেপথ্যে দলেরই একাংশের অনুমোদন রয়েছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা এখনও অব্যাহত গেরুয়া শিবিরে।
আরও পড়ুন: ডেমো'ই এমন! 'খেলা শুরু' হলে কী হবে? আশঙ্কায় দিলীপ ঘোষ
এরই মধ্যে ফের ট্যুইট করে তথাগত রায় লেখেন, ''কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য আমি টুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচীয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!'' (বানান অপরিবর্তীত)।
আরও পড়ুন: 'দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী...', আরও বড় 'বিস্ফোরণের' ইঙ্গিত দিলেন তথাগত রায়!
তথাগত রায়ের সেই ট্যুইটের পর রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা ছিল, হয়ত কিছুদিন চুপচাপই থাকবেন তথাগত। কিন্তু ফের একটি ট্যুইটকে কেন্দ্র করে দিলীপ ঘোষকেই নিশানা করলেন তিনি।