বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় ট্যুইটারে লিখেছেন, "রাজীব যখন তৃণমূলে ফেরার তোরজোর চালাচ্ছেন, তখন তাঁর নাম রাখা হয়েছে বিজেপির জাতীয় একজিকিউটিভ কমিটিতে। রাজ্য কমিটিকে জানানোও হয়নি। কার সুপারিশে এমন হল? কী চলছে?"
তথাগত অন্য একটি ট্যুইটে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ঠিক একই রকম ভাবে প্রয়াত সোমেন মিত্র-র স্ত্রী-কে ভোটের আগে চৌরঙ্গীর আসনের প্রার্থী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। শিখা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও লেনদেন নেই। তথাগত রায় এবারেও কাঠগড়ায় তুলেছেন, তাঁর পূর্ব উদ্ধৃত কেডিএসএ-টিমকে। অর্থাৎ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশ। এই চারজনকে নিয়ে অতীতেও বারংবার অভিযোগ করেছেন তথাগত রায়। দলবদলুদের দলে স্বাগত জানানোর জন্য এদেরই দায়ী করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-আজই তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ! পুজোয় কবে বৃষ্টি, কবে নয়? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস!
গত ৬ মে ট্যুইটারে তথাগত রায় লিখেছিলেন, "কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ-এই চারমাথায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছে। এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নাম খারাপ করেছেন। হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাততারা হোটেলে বসে তাঁরা তৃণমূলের আবর্জনাদের মধ্যে টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন। এখন দলীয় কর্মীদের তোপ থেকে বাঁচতে তাঁরা সেখানেই বসে আছেন। ভাবছেন এই ঝড় চলে যাবে।"
তথ্য বলছে ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন কমবেশি ৪৬ জন। এর মধ্যে মুকুল রায়কে বাদ দিলে জয়ী হয়েছেন মাত্র দুইজন, তাঁরা শুভেন্দু অধিকারী ও মলয় ঘটক। তথাগতর ক্ষোভ ছিল পরাজিত তৃণমূল-ত্যাগী নব্য বিজেপিদেক দিকতেই। এই তৃণমূলে ত্যাগীদের সম্পর্কে তথাগতর মন্তব্য ছিল, "একঝাঁক নিম্নমানের অদূরদর্শী মানুষ যাদের কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়া নেই, অষ্টম শ্রেণি পাশ তাদের থেকে কি প্রত্যাশা করা হবে?" আর এই গোটা ঘটনার জন্য তিনি দলের চার মাথার দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এমনকি দিন কয়েক আগে দিলীপ ঘোষের রাজ্যসভাপতি পদে অপসারণের পর তিনি মন্তব্য করেন,অত্যন্ত সময়পোযোগী পদক্ষেপ।