২০১৯ সালের ভোটে খারাপ ফলের কারণ খুঁজতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের একাংশ বিভিন্ন সময়ে স্বীকার করেছে শুধু বামেদের ভোট বিজেপিতে যাওয়াই কারণ নয়। দলের লোকেদের মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও অনেক দূরত্ব তৈরি করেছে। তাই ৭৫ দিনের ‘বাংলার গর্ব মমতা’ অভিযানের আনুষ্ঠানিক শুরুর দিন দলের লোকেদের উদ্ধত আচরণ থেকে নিজেদের দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
advertisement
‘বাংলার গর্ব মমতা’ অভিযান ২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১০ মে অবধি চলবে। এই অভিযান ৩ টি ধাপে হবে-
প্রথম ধাপ
৭ই মার্চ থেকে ১৫ ই মার্চ- তৃণমুল সদস্য সম্মেলন হবে প্রতি বিধানসভায় ৷জলযোগে যোগাযোগ (সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথন) একইসঙ্গে দলের পুরনো সংগঠকদের সম্মাননা। স্বীকৃতি সম্মেলনের মধ্যে দিয়েই এগোবে ৷
দ্বিতীয় ধাপ
২০ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল- ২৯৪ টি বিধানসভার ১৫ হাজার জনবসতির মানুষের সঙ্গে বঙ্গধ্বনী যাত্রার মাধ্যমে জনসংযোগ । একইসঙ্গে সংহতি যাত্রা ও চেতনা সভার মাধ্যমে তফশীলিজাতি ভুক্ত মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ । এই অংশের একটা বড় ভোট ২০১৯ সালে বিজেপির দিকে ঘুরে যাওয়ায় এই অংশের জন্য বিশেষ উদ্যোগ।
তৃতীয় ধাপ
২০ শে এপ্রিল থেকে ১০ ই মে- বাংলার বার্তা নামের এক পরিক্রমায় ৩৫০০ পঞ্চায়েত ও পুরসভার ১০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে জনসভা। (১৮ থেকে ২৫ বছর বয়স) নতুন সদস্যদের বরণ করতে নবীন বরণ। যেখানে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷
এই ধাপে ২৯৪ টি বিধানসভার ১৫ হাজার মহিলাকে সম্মাননা জানানো হবে। এলাকায় জনমত প্রভাবিত করতে পারে এমন ব্যাক্তির সংগেও আলোচনা ও সংযোগ স্থাপন রয়েছে এই ধাপে। এছাড়াও বুথ সম্মেলনে জোর দেওয়া হয়েছে এই জনসংযোগ যাত্রায় । সব মিলিয়ে ঘাটতি পূরনের লক্ষ্যে ২১ র বিধানসভা ও পুরভোটকে মাথায় রেখেই রাস্তাই বেছে নিল রাজ্যের শাসক দল।
SOURAV GUHA