মহাগুরু তথা বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বিজেপির নেতা তাপস রায়কে এবার বড় দায়িত্ব দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সল্টলেকের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকেই তাপস রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। উত্তর কলকাতার জেলার ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হল তাপস রায়কে। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষকে দায়িত্ব না দিয়ে তাপস রায়কে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে ডামাডোল শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতা বিজেপিতে।
advertisement
বিজেপির সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের বিরুদ্ধে। সবদিক খতিয়ে দেখেই কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়েছে উত্তর কলকাতার ভোটার তালিকা সংশোধনের গুরু দায়িত্ব দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কারিগর ও বিজেপি নেতা তাপস রায়কে মত বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর কলকাতা থেকে পদ্মের প্রার্থী হন তাপস। তবে জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষকে ছেড়ে কেন এ দায়িত্ব দেওয়া হল তাপস রায়কে সে নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে উত্তর কলকাতা বিজেপির তাপস – তমোঘ্ন দুই শিবিরের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: NIRF র্যাঙ্কিং অনুসারে ভারতের শীর্ষ ১০ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোনগুলো? সামনে এল তালিকা, দেখে নিন
যদিও তমোঘ্ন শিবিরের কর্মী সমর্থকরা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তমোঘ্নর যোগাযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন গত লোকসভা নির্বাচনে তাপস রায়কে জেতানোর জন্য বহু কাজ করেছেন। তবে আদি বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ কখনও চায়নি তাপস রায় দলে এসে টিকিট পেয়েই জিতে যান। যদিও সেসব বিতর্ক ছেড়ে উত্তর কলকাতা ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্ব পাওয়ার কাজিয়ায় এখন বড় হয়ে উঠেছে উত্তরের গেরুয়া শিবিরে।
যদিও সকল স্তর থেকে বারংবার দলের অন্তর কলহ মিটিয়ে একসঙ্গে সাংগঠনিক কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এই আদি নব্য দ্বন্দ্ব বারংবার নির্বাচনী ফলের ক্ষেত্রে কাটা হয়ে উঠেছে পদ্ম শিবিরের কাছে। মিঠুন চক্রবর্তীকে নিজেদের সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় করে কিংবা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ময়দানে নামিয়ে নতুন পুরনো ঝগড়া ছেড়ে নির্বাচন উৎরাতে পারে কিনা বিজেপি সেটাই দেখার।