পূর্ত দফতরের কর্তাদের কথায়, নব নির্মিত এই সেতু কতটা নিরাপদ আইআইটি খড়গপুর ও রেলের বিশেষজ্ঞরা আলাদাভাবে তা খতিয়ে দেখছে। প্রযুক্তিগতভাবে কতটা ভারবহণের উপযুক্ত হয়েছে। ১৫ সেপ্টম্বরের মধ্য তারা রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল।সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন - Weather Alert: বারবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বড় ভোলবদল, রইল আপডেট
advertisement
তারপরেই পূর্ত দফতর, পুর নগরান্নয়ন দফতর, কলকাতা পুলিশ বৈঠক ও করে।তাই আপাতত ২২ তারিখ উদ্বোধনের দিন হিসাবে ঠিক হয়েছে।পাশাপাশি পূর্ত দফতরও এই সেতুর ভারবহণ ক্ষমতা আলাদাভাবে পরীক্ষা করার পরই সব ধরনের যান চলাচলের অনুমতি দেবে। সেটা হবে পুজোর পর। তার আগে সেতু উদ্বোধন হলেই হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত,২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার প্রধান যোগ সূত্র এই ১০৯ বছরের পুরনো এই সেতু দুর্বল হয়ে পড়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন - Durga Puja 2022: আগমনীতে 'দুর্গাশক্তি সম্মান', তুলে দেওয়া হল প্রকৃত দশভূজাদের হাতে
পরের মাস থেকে নতুন করে এই সেতু নির্মাণের জন্য ভেঙে ফেলা হয়। এই নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা। রেলের অনুমতি মিলতে কিছুটা দেরি হওয়ায় নির্মাণ কাজে দেরি হয়ে যায়।পুজোর আগেই যাতে টালা ব্রিজ চালু করা যায় তা নিয়ে একাধিকবার পূর্ত মন্ত্রী পুলক রায় আধিকারিক দের সঙ্গে বৈঠক করেন।রেলের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করে পূর্ত দপ্তর এর আধিকারিক রা।টালা ব্রিজ চালু হওয়ার জেরে পুজোর আগেই উত্তর কলকাতা এর সঙ্গে সোদপুর,ব্যারাকপুর সহ বিস্তীর্ণ কলকাতার যোগাযোগ ব্যাবস্থা সহজলভ্য হবে।পাশাপশি উত্তর কলকাতার ট্রাফিক ব্যাবস্থা পুজোর আগে আরো সচল হবে বলেই মনে করছে পুলিশ প্রশাসন।তবে পুজোর আগে চালু হওয়ায় সস্তির নিশ্বাস ফেলছেন উত্তর কলকাতার পুজোর কমিটি গুলো।গত কয়েকবছর টালা ব্রিজ এর জন্য অনেক দর্শক উত্তর কলকাতা মুখী হয়নি।এবার সেই প্যান্ডেল গুলোতে ভিড় বাড়বে বলেই মত পুজো কমিটি গুলোর।
SOMRAJ BANDOPADHYAY